মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, কালের খবর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্থানীয় দুই এমপিকে সংবর্ধনা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতা/কর্মীদের মাঝে দ্বন্ধ ,ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারনে সলিমগঞ্জ ও বড়িকান্দি ইউনিয়ন দুইটি নবীনগর উপজেলার সাথে পুনরায় অন্তভূক্ত হয়েছে। এ অন্তভূক্ত হওয়ার পিছনে দুই উপজেলার স্থানীয় সংসদ ফয়জুর রহমান বাদল ও ক্যাপটেন এবি তাজুল ইসলামের অবদানের জন্য ওই দুই ইউনিয়নবাসী সম্মিলিতভাবে তাদের সংবর্ধনা দেওযার আয়োজন করে। এ নিয়ে ঢাকাস্থ এলাকার নেতাদের সমন্বয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এম হালিমের অফিসে অনুষ্টিত এক বৈঠকে সকলের সার্বিক অংশগ্রহনে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগের একটি গ্রুপ দলের একটি বিরাট অংশকে বাদ রেখেই অনুষ্টানের পরিকল্পনা করে। গত শুক্রবার সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল এর উপস্থিতিতে ওই দুই ইউনিয়নের দলের স্থানীয়/ঢাকাস্থ কিছু নেতাদের নিয়ে বৈঠকে আগামী ১৩ জুলাই সংবর্ধনার তারিখ ঘোষনা করে। বৈঠকে স্থানীয় নেতা/কর্মীরা পূর্বের সিদ্ধান্তের সকলের অংশগ্রহনে সংবর্ধনা অনুষ্টানে পরিকল্পনার দাবী জানালে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। সভায় বাকবিতন্ডতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তারাহুরুতে সভা শেষ করে একজন নেতাকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়ে চলে যায় নেতারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ মাঈন উদ্দিন আহম্মদ মঈন বলেন,সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম,দেখলাম স্থানীয় কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দকে এ সভায় ডাকা হয় নাই,আমরা বলেছি স্থানীয় ও ঢাকাস্থ সকল নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহনে ও সহযোগীতায় এ অনুষ্টান করতে হবে,আমার এ বক্তব্যে স্থানীয় প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ উপস্থিত অধিকাংশ নেতা/কর্মী সমর্থন দিলে ওই স্বার্থনেষী মহল যারা এককভাবে অনুষ্ঠান করতে চায় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে বুলবুল সাহেব স্থানীয় এক নেতাকে সমন্বয়ের জন্য দায়িত্ব দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে বড়িকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ হারুদ বলেন,আমরা চাই দুই ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সকল নেতাদের সর্বাত্তক অংশগ্রহনে ভাল সুন্দর একটি জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠান।তা না হলে এ দ্বন্ধ সংঘাতে রুপ নিতে পারে ।
এ ব্যাপারে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাইনুল হক সিকদার বলেন, ওটা ছিল প্রাথমিক একটি পরামর্শ সভা,সবাইকে দাওয়াত করা হয়েছিল অনেকে এসেছে, অনেকে আসে নাই,তেমন কোন বিশৃংখলা হয়নি,অনুষ্ঠানটি দুই এমপি ও দলের সেক্রেটারী হালিম ভাই এর সিদ্ধান্তক্রমেই ১৩ জুলাই নির্ধারণ করা হয়। আমরা দুই ইউনিয়নে সকল নেতা/কর্মীদের নিয়েই এর আয়োজন করা হবে। বাকি দলের কেন্দ্রীয় ও উপজেলার নেতা/কর্মীদের দাওয়াত করা হবে কাউকে বাদ দেওযা হবে না ।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম হালিমকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন।