সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ফারুক আলম তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ। কালের খবর খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক। কালের খবর মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান। কালের খবর ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত হলো সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব। কালের খবর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মাটিরাঙ্গায় বিএনপির বিক্ষাভ সমাবেশ। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আফজাল ভূঁইয়া। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর নবীনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ। কালের খবর সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান। কালের খবর
গাঁজা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি নজু সরদার

গাঁজা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি নজু সরদার

ফারুক শাহজী, কালের খবর :

রূপনগরের চলন্তিকা বস্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সরদার। তিনি দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, বাংলাদেশে যখন থেকে মাদকের কেনাবেচা শুরু, তখন থেকেই নজুর সরদারের নাম ছিল তালিকার প্রথম পাঁচজনের মধ্যে। শুধু নজু নয়, মিরপুরের চলন্তিকা ও ঝিলপাড় এলাকায় তার মা সুফিয়া বেগম, দুই ভাই- তোফা সরদার ও বাবুল সরদার, বোন লীলা ও শান্তি, স্ত্রী হাজেরা বেগমসহ আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা করে আসছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নজুর বিরুদ্ধে মিরপুর, পল্লবী ও রূপনগর থানায় ২২টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে গত ১১ মার্চও অভিযান চালিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৭৮ জন, এপিবিএনের ৯ জন ও পুলিশের ১০ জনের সমন্বিত একটি দল। কিন্তু তখন তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিরপুরের চলন্তিকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় নজুকে ধরতে না পারলেও দুটি রামদাসহ গ্রেফতার করা হয় তার ভাগ্নে রিয়াজকে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালেও একবার নজুকে ধরতে র‍্যাব-৪ মিরপুরের ওই বস্তিতে অভিযান চালায়। তখন নজুর মা, স্ত্রী ও বোনরা বস্তির ভেতর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
বার বার শীর্ষ এই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার পর রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নজুর অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। এরপরই অভিযান চালানো হয় রূপনগরের চলন্তিকা বস্তিতে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলিতে নজু নিহত হয়। তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত নজু চলন্তিকা বস্তির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মিরপুর, পল্লবী ও রূপনগর থানায় ২২টি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ী নজুর উত্থান
নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সরদারের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তার বাবা আবদুল আলী কাজী এলাকায় কৃষিকাজ করতেন। নজুরা তিন ভাই, পাঁচ বোন। প্রথমে নজুর বড় দুই ভাই তোফাজ্জল কাজী ওরফে তোফা কাজী ওরফে তোফা সর্দার ও মেজ ভাই বাবুল কাজী ওরফে বাবুল সর্দার ঢাকায় এসে কারওয়ান বাজারে গাঁজা বিক্রি শুরু করেন। এরপর দুই ভাইয়ের পথ ধরে নজুও মিরপুরে গাঁজা বিক্রি দিয়ে মাদক ব্যবসা শুরু করেন।
এক পর্যায়ে নজুর নাম চলে আসে দেশের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায়। মিরপুরের চলন্তিকা বস্তির ২৫টি ঘর থেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তিনি। রাতারাতি বনে যান কোটিপতি, বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটির কম নয় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় নাম আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নজুকে ধরতে জোর তৎপরতা শুরু করেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে বরিশালে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ফিরে যান নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জে।
মুন্সীগঞ্জের মানিকপুরে জান্নাতুল ভিলা নামে একটি ছয়তলা ভবন তৈরি করেছিলেন নজু। কখনো ওই বাড়িতে, আবার কখনো মধ্য কেওরে নিজের গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন এই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। সেখান থেকেই তিনি মিরপুরে নিজের মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন।

       দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন ।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com