মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, কালের খবর : সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু পাশের মানুষ চলাচলের পথে হরেক রকমের দোকান বসিয়ে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজির প্রস্তুতি। চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে ইতোমধ্যে আহত হয়েছেন কয়েকজন। মোটা অংকের মাশোয়ারায় নির্বাহী প্রকৌশলী মুখে কুলুখ এঁটে বসে আছেন। আশংকা রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল মোড়ে রাস্তার দু পাশে কয়েকটি সারিতে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে ২শ দোকান বসানো হয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রভাবশালী রাঘববোয়ালরা তাদের দালাল ও চেলাদের দিয়ে তুলে নিচ্ছে চাঁদার টাকা। পুরো শিমরাইল মোড় নিয়ন্ত্রণ করছে কাউন্সিলর ফারুক, বাদল ও আমিনুল হক রাজু। মঙ্গলবার চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আলম নামের এক শ্রমিক নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তিনি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। এভাবেই দিনের পর দিন সংর্ঘষ লেগেই রয়েছে। যার যার কাজ সে করেই চলেছে। অসাধুদের জয়গান চলতেই থাকবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের সূত্র বলছে, যারা শিমরাইল মোড়ে চাঁদাবাজি করে তারা প্রতি মাসেই নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে এসে দেখা করে যায়। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে চাঁদাবাজদের ১০ লাখ টাকার একটা বনিবনা হয়ে গেছে। এ কার্যালয়টি এখন অন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে আমাকে বলে লাভ নেই। পুলিশকে বলেন পুলিশ যদি কিছু করতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) শরফুদ্দিন বলেন, যে যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। আলমের ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে চালান করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। তবে সন্ত্রাসী লালন পালন করে চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রভাবশালী কারা তাদের বিস্তারিত জানবো। জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
…… দৈনিক কালের খবর