শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
এমপির সঙ্গে নেই আ. লীগ বিএনপির কাঁটা ‘মান্নান ভূঁইয়া’

এমপির সঙ্গে নেই আ. লীগ বিএনপির কাঁটা ‘মান্নান ভূঁইয়া’

 

জামান আহমেদ, নরসিংদী, কালের খবর  :

নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যেমন স্বস্তি নেই, তেমনি সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিও বিভেদে জর্জরিত। বর্তমান সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে নেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে বিএনপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ। এ কারণে নরসিংদীর অন্য সংসদীয় এলাকাগুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে শিবপুর এলাকা।
দশম সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন। তিনি স্থানীয় আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের অনুসারীদের সহায়তা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনকে পরাজিত করেন। এ কারণে সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরাগভাজন হন, সংসদ সদস্য হওয়ার সোয়া চার বছরেও যার রেশ কাটেনি। একাদশ নির্বাচনে এ দুজনই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

অন্যদিকে বিএনপির একসময়ের প্রভাবশালী নেতা ও দলটির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া আজ বেঁচে নেই। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর সংস্কারপন্থী বলে তাঁকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ওই ঘটনার পর থেকে মান্নান ভূঁইয়ার নিজ উপজেলা শিবপুরে বিএনপি এখনো তিন ভাগে বিভক্ত।

আওয়ামী লীগ : দলীয় প্রচেষ্টায় নবম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে পরাজিত করে চমক দেখান আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন। কিন্তু সংসদ সদস্য হওয়ার পরপরই দলীয় কাজে গুটিকয়েক নেতার হাতে ক্ষমতা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। এ সুযোগে দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীদের নিজের ছায়ায় নিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নিজের অবস্থান তৈরি করেন। মনোনয়নের দাবিদার হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনে তাঁকে টপকে মনোনয়ন পেয়ে যান জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের হাত ধরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুলকে হারিয়ে তিনি বিজয়ীও হন।

কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ থেকে সরে যেতে হয় সংসদ সদস্যকে। এর মধ্যে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের সদস্যসচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধার সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে একা হয়ে পড়েন তিনি।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোয়া চার বছরেও দলের সহযোগী সংগঠন স্থানীয় যুবলীগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা ছাড়া কারো সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারেননি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের বলয়ে থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শিবপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আজিজুর রহমান ভুলু বলেন, ‘জহিরুল হকের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সততা ও স্বচ্ছতা। আগামী দিনে এটাই তাঁকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ তিনি জবানে এক, কথা দিয়ে কথা রাখার চেষ্টা করেন। ’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশীদ খান কালের খবরকে  বলেন, ‘সিরাজ মোল্লা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে গত সোয়া চার বছর স্বতন্ত্রভাবে চলেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাণ্ডে উনি ছিলেন না। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার সঙ্গেও ওনার সমন্বয় কিংবা যোগাযোগ নেই। ’

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন কালের খবরকে  বলেন, ‘স্বতন্ত্র এমপি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কালো টাকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রলুব্ধ করে বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর কাছে নৌকা নিরাপদ নয়, যে কারণে বিগত নির্বাচনেও জননেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবারও আমি আশাবাদী। ’

বর্তমান সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কালের খবরকে  বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই, এটা ঠিক না। আমি নেতাকর্মীদের যতটুকু মূল্যায়ন করা দরকার, চেষ্টা করেছি তার চেয়ে বেশি করতে। আর আমি এলাকায় যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছি তার মূল্যায়ন করবে জনগণ। জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথেই আমি এলাকার সব কাজ করে গেছি। তাই আমি শতভাগ আশাবাদী, আগামী দিনে আমাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। ’

বর্তমান ও সাবেক দুই সংসদ সদস্যের বাইরে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া রাখিল। তিনি কালের খবরকে  বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তাই ওনাকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই। তিনি জনবিচ্ছিন্ন সংসদ সদস্য। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়েই মূলত তিনি ব্যস্ত থাকেন। তা ছাড়া শিবপুরের জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আমি ছাত্ররাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি। সাংগঠনিক নেতা হিসেবে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চিত পাব। ’

বিএনপি : শিবপুর আসনে চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী থাকাকালে পুরো নরসিংদীর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন মান্নান ভূঁইয়া। এর মধ্যে শিবপুরে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটও পাকা। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ আছে। এসব কারণে এলাকায় তিনি দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে সংস্কারের ডাক দেওয়ায় মান্নান ভূঁইয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মৃধা দল থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান। তাঁরা যোগ দেন মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে মান্নান ভূঁইয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার। এতে তখন বিএনপিতে দুটি ধারা তৈরি হয়। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হকের কাছে পরাজিত হন মান্নান ভূঁইয়া। আর জামানত হারান তোফাজ্জল হোসেন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর নিজের পক্ষের নেতাকর্মীদের দিয়ে উপজেলা বিএনপির কমিটি করেন তোফাজ্জল হোসেন। ২০০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান খানকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আবু ছালেহ রিকাবদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি করা হয়। কিন্তু পরে মান্নান খানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তোফাজ্জল হোসেন। এরপর তিনি সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তুলে ২০১৩ সালে কমিটি ভেঙে দেন। তিনি নিজেই আহ্বায়ক হয়ে শিবপুরে আবার কমিটি করেন। কিন্তু মান্নান খান এ কমিটি না মেনে নিজেদের কমিটি বহাল রাখেন। তাঁদের সমর্থন দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। ফলে এখানে বিএনপির তিনটি ধারা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের আবুল হারিছ রিকাবদারের সঙ্গে আরিফ উল ইসলাম মৃধার বিরোধ তৈরি হয়। এটাকে কাজে লাগিয়ে আবুল হারিছ রিকাবদারকে নিজের কবজায় নিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি করেন তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার।

২০১০ সালের ২৮ জুলাই মান্নান ভূঁইয়া মারা যান। এরপর তাঁর অনুসারীরা গঠন করে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সব নির্বাচনের বিভিন্ন পদে মান্নান ভূঁইয়ার অনুসারীদের অনেকে জয়লাভ করেছেন। শিবপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে রয়েছে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের ২৮টি কমিটি। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো. মেরাজুল হককে সমর্থন দেয় মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ। বিএনপি-আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে মেরাজুল জয়লাভ করেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলটির এই সাংগঠনিক অবস্থার মধ্যেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু নিজেদের জানান দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার বলেন, ‘মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে নেত্রী যাঁকে মূল্যায়ন করবেন আমরা তাঁর পক্ষেই কাজ করব। ’

আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের সদস্যসচিব ও উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘দলগত দিক থেকে শিবপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই অন্তঃসারশূন্য। তাই তারা এখন করছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। মান্নান ভূঁইয়ার ছোঁয়া এখনো মানুষের হৃদয়ে আছে। তাই আমার ধারণা, আগামী দিনেও মান্নান ভূঁইয়ার আশীর্বাদপুষ্ট কাউকে শিবপুরের মানুষ তাঁদের সেবায় কাজ করার সুযোগ দেবেন। ’

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার বলেন, ‘শিবপুরের বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা আছে বলে আমি জানি না। আর উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ মৃধা ছাড়া মান্নান ভূঁইয়া পরিষদে আর কেউ নেই। সবাই আমার নেতৃত্বে বিএনপির মূলধারায় ফিরে এসেছে। সে ক্ষেত্রে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ বিএনপির জয়ে বাধা বলে আমি মনে করি না। আর আমি বিএনপির দুঃসময়ে হাল ধরেছি। এখনো ধরে আছি। আগামী নির্বাচনে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী। ’

জাতীয় পার্টি : সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চান দলটির জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজাউল করিম বাসেত, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর কবির, জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ও শিবপুর উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর পাঠান।

কালের খবর /কে /কে

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com