রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
৩০ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি…….?

৩০ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি…….?

কালের খবর প্রতিবেদক : ৩০ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি। বারবার ব্রিজ নির্মান করে দিবে বলে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলেনি সোনারগাঁয়ে সাদিপুরের বাইশটেংগি উত্তরপাড়া এলাকার ১০ গ্রামের মানুষের ভাগ্যে।
৩০ বছর ধরে বাশের সাকো ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। ঝরাজীর্ন সাকো দিয়ে চলাচল করে দূঘর্টনার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেংগি উত্তরপাড়া এলাকার গ্রামবাসীরা ৩০ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে তৈরি সাকো দিয়ে চলাচল করে। এটাই তাদের চলাচলের এক মাত্র পথ। এ সাকো ব্যবহার করে প্রতিদিন বাইশটেংগি উত্তরপাড়া, বরগাঁও দক্ষিন পাড়া, কোড্ডাবাড়ী, বরাব, দিয়াবাড়ী, সিংরাব, খন্দকারবাড়ী, গঙ্গাপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামের সাধারণ মানুষ, হাসপাতালের রোগী, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এ সাঁকোতেই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। মুমূর্ষ রোগী নিয়ে গ্রামবাসীদের কষ্টের সীমা থাকেনা। ইচ্ছা হলেও তারা কোন প্রকার ভারী মালামাল পরিবহন দিয়ে বাড়ীতে আনতে পারছেন না। বাশের সাকোর উপরদিয়ে মালামাল আনতে গিয়ে এবং শিশু শিক্ষার্থীরা পারাপার হতে গিয়ে অনেকই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছে। এবিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের বার বার নজরে আনলেও কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী।
বাইশটেংগি স্কুল এন্ড কলেজের ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী শারমিন ও ফারহানা বলেন, আমরা বাড়ী থেকে বের হয়ে স্কুলে যাব এরকম রাস্তা আমাদের গ্রামে নেই । মানুষের বাড়ীর উপর দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। যখন বাশের সাকোর উপর দিয়ে আমরা স্কুলে যাই অনেক ভয় পাই। সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্ধতন কতৃর্পক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুর রউফ (৯৯) জানান, আমরা অনেক কষ্টে বাঁশের সাকো দিয়ে চলাচল করি। একটু বৃষ্টি হলেই সাকোটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমি বয়স্ক মানুষ একা সাকো দিয়ে চলাচল করতে পারি না । যদি এখানে ব্রীজ বা রাস্তা হয়ে যেত তাহলে আমাদের অনেক দিনের কষ্ট শেষ হত ।
এবিষয়ে ২নং ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান সাউদ জানান, আমাদের বাশের সাকোটি অনেক ঝুকিপূর্ণ। ঝুকি নিয়েই শিক্ষার্থীসহ গ্রামের সবাই চলাচল করছে। বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত ব্রীজ বা রাস্তা করে দেবেন। আশা করছি দ্রুত আমাদের ১০ গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধান করে দিবেন তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com