শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
এম আবদুল্লাহ, কালের খবর :
পহেলা সেপ্টেম্বর ৪৭-এ পা দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই, উত্থান-পতন আর ভাঙা-গড়ায় ৪৬ বছরের পূর্ণ যৌবনে উপনীত হয়েছে। ১৯৭৮ সালের এই দিনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জন্ম হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির। চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বিএনপি এমন একটি সময়ে ৪৭ বছরে পা রাখছে, যখন দীর্ঘ ১৭ বছরের ঘোর অমানিশা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তির শ্বাস নিতে পারছে। দিন পঁচিশেক আগে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় এক অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন করে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
প্রায় দেড় যুগ ধরে বলতে গেলে সবকিছুই ছিল বিএনপির প্রতিকূলে। ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের ওয়ান-ইলেভেনের পর সেনাসমর্থিত শাসনে পর্যুদস্ত। ২০০৮ সালের মইন-ফখরুদ্দিনদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বোঝাপড়ায় পাতানো নির্বাচনে ভরাডুবি। তার পর অকল্পনীয় নিপীড়ন-নির্যাতন ও নিঃশেষ করে দিতে রাষ্ট্রীয় স্বৈরশক্তির সর্বাত্মক আয়োজন। চৌদ্দর বর্জিত ভোটারবিহীন নির্বাচন, আঠারোর নিশিভোট আর চব্বিশের ডামি নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতার চৌহদ্দি থেকে অনেক দূরে চলে যায়। নেতাকর্মীরা অনেকটাই হতাশাগ্রস্ত ও হতোদ্যম হয়ে পড়েন। খোদ শীর্ষ পর্যায়েই হতাশার ছায়া পড়ে।
রাজনীতিতে অনেকটা আকস্মিকভাবে ঘটে যাওয়া পালাবদলে এখন ক্ষমতায় দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের সমর্থনে গঠিত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারে সমর্থন দিয়েছে আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতার দাবিদার বিএনপি। এমন সময় দলটির প্রতিষ্ঠার দিন সমুপস্থিত। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে যে অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা ছিল, সেটি ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হবে বলে প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি।
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পূর্ব বাংলাদেশের অবস্থা যেমনটা ছিল, ঠিক তেমনি প্রায় পাঁচ দশক আগে পঁচাত্তরের আগস্টে বিপ্লব-পূর্ব দেশে ছিল ব্যাপক দুর্নীতি, অরাজকতা ও অস্থিরতা। হতাশা, ক্ষোভ, বঞ্চনা আর সীমাহীন বৈষম্য গ্রাস করেছিল। একদলীয় দুঃশাসনে পিষ্ট-অতিষ্ঠ জনগণের দম-বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েমের পর রুদ্ধ হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথ। যেমনটি হয়েছিল সদ্য-পতিত শেখ হাসিনা সরকারের তিন মেয়াদেও। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অভাবনীয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে।
তার পর ৩ নভেম্বর প্রতিবিপ্লব এবং এরই ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সূচনা। সেদিন সিপাহি জনতার মিলিত সমর্থনে স্বাধীনতার ঘোষক এবং অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীরউত্তম দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান। তখন দেশের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। দুর্দান্ত সাহসিকতায় ভর করে দৃঢ় ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুজ্জ্বল রেখে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। আর তখন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাগিয়ে তুলতে প্রয়োজন পড়ে একটি প্ল্যাটফর্মের।
এ প্রেক্ষাপটে দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রমনা জিয়াউর রহমান তার শাসনকে দ্রুত অসামরিকীকরণের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তার পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে করা হয় এই দলের আহ্বায়ক। জাগদলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দলের ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীন, জাতীয়, মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ সুনিশ্চিত করার জন্য জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে এমন একটি জাতীয় সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে অনুভব হচ্ছে যা কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও কর্মজীবী মানুষকে একতাবদ্ধ করে স্বাধীন জাতীয় বিকাশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। …জাগদলের মাধ্যমেই কেবল জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জাতীয় বিকাশ সম্ভব।’
জাগদল গঠনের পর একই বছর ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ নামে একটি রাজনৈতিক জোট গঠিত হয়। জাগদল ছাড়াও এ জোটে যোগ দেয় মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), কাজী জাফর ও ক্যাপ্টেন আবদুল হালিমের নেতৃত্বে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি), শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম লীগসহ আরও কয়েকটি দল ও গ্রুপ। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে জেনারেল ওসমানীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জেনারেল জিয়াউর রহমান।
নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পরই জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিলুপ্তি ঘটে জাগদল ও ঐক্যফ্রন্টের। নির্বাচনী জোট জাতীয়তাবাদী ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও মুসলিম লীগের অপরাংশ ও ন্যাপ (ভাসানী) বিএনপিতে যোগ দেয়। অবশ্য কাজী জাফরের নেতৃত্বে জাগদলের একটি অংশ থেকে যায়। ঘোষিত ১৯ দফাকেই নবগঠিত বিএনপির মূল আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। জিয়াউর রহমান প্রথমে দলের আহ্বায়ক ও পরে চেয়ারম্যান হন। প্রথম মহাসচিব হন অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
মুক্তদ্বার নীতি গ্রহণ করে দলকে ব্যাপকভিত্তিক একটি জাতীয়তাবাদী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রূপ দিতে জিয়াউর রহমান দক্ষিণপন্থি ও বামপন্থি মতাদর্শের রাজনীতিকদের স্বাগত জানান। তখন দলের ৪৫ শতাংশেরও বেশি নেতাকর্মী ও সদস্য ছিলেন রাজনীতিতে নবাগত ও তরুণ। দলের প্রধান লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়—অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য ও জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার চেতনা সৃষ্টি। পাশাপাশি চারটি মূলনীতি ছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালে গোটা জাতি ছিল বিভক্ত। আর এই বিভক্তি ডান, মধ্য ও বাম ইত্যাকার রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতেই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে বা করেনি কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বা বিপক্ষ শক্তি হিসেবেও। ফলে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিসেবীর মতো সামাজিক শক্তিগুলোও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। আমলা এমনকি সামরিক বাহিনীও মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রপতি জিয়ার বিএনপি গঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিল এ বিভাজন দূরীকরণ এবং গোটা জাতি যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একক সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে, সেজন্য বিবদমান গোষ্ঠী ও উপদলের একত্রীকরণ। জিয়াউর রহমান শুধু তার প্রতিষ্ঠিত দল নয়, বাকশালের কারণে বিলীন হয়ে যাওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও প্রকাশ্যে রাজনীতির সুযোগ করে দেন। বিলুপ্ত হওয়া আওয়ামী লীগকেও নিজ নামে রাজনীতি করার পথ সুগম করে দেন।
আজন্ম বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে বিএনপিকে। দল গঠনের মাত্র দুই বছরের মাথায় কতিপয় দেশদ্রোহী বিপথগামী সেনাদের হাতে প্রাণ দিতে হয় ইতিহাসের সফল ও নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমানকে। তার পর দলের হাল ধরেন গৃহবধূ খালেদা জিয়া। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াইয়ে আপসহীন ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে তার। নব্বইয়ে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারে নেতৃত্ব দেন। বস্তুত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অপরিমেয় দেশপ্রেম কাল হয়েছে দলটির। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় গিয়ে দেশের উন্নয়নে যেমন অবদান রেখেছে বিএনপি, তেমনি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বিপর্যয়ের মুখেও পড়েছে বারবার।
২০০৬ সাল থেকে টানা ১৭ বছরের অধিক সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও জিয়া পরিবার এখনো বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী জাতীয়তাবাদী আদর্শ আর উন্নয়ন, উৎপাদন ও জনগণতান্ত্রিক রাজনীতিই বিএনপির মূল শক্তি। সে আদর্শ থেকে নিকট অতীতে বিচ্যুতি ঘটেছে—এমন আক্ষেপ করছেন দলটির কোনো কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী। যদিও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা আদর্শিক বিচ্যুতির অভিযোগ কবুল করেননি।
ফ্যাসিবাদী সরকারের ভয়ংকর নিপীড়নে দলে হতাশা ও নেতাকর্মীদের হতোদ্যম হয়ে পড়ার কথাও মানতে নারাজ বিএনপি নেতৃত্ব। তারা বলছেন, খুন, গুম, মামলা, হামলায় জর্জরিত হয়ে সাময়িক হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীরাই আবার সময়ের প্রয়োজনে নতুন করে স্বপ্ন জাগিয়ে তুলছেন। স্বৈরশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। যদিও চলতি আগস্ট বিপ্লবে মুখ্য ভূমিকায় ছিল অরাজনৈতিক সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সহায়ক শক্তি ছিল বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য ছোট-বড় রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। দানবীয় ফ্যাসিবাদী শক্তির কবল থেকে জাতীয় মুক্তির প্রত্যাশী আপামর জনসাধারণ জুলাই-আগস্টের মরণপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে অন্য অনেকের মতো বিএনপিও কিছু সুবিধা এরই মধ্যে পেয়েছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিধিনিষেধের শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছেন। কারাবন্দি নেতারা মুক্তি পেয়েছেন। জুলাই-আগস্টের নিপীড়নমূলক মামলাগুলো বাতিল হয়েছে। তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। মিডিয়ায় প্রাপ্য প্রচার-সুবিধা পাচ্ছেন। বুকভরে শ্বাস নিতে পারছেন দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। বাসাবাড়িতে ঘুমাতে পারছেন। মামলার জালে আটকে তছনছ হয়ে যাওয়া লাখো জাতীয়তাবাদী পরিবারে স্বস্তির সুবাতাস বইছে।
তবে এখনো বিএনপির পথ একেবারে কুসুমাস্তীর্ণ নয়। খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক রাজনীতিতে হাল ধরলে তা হবে দলটির জন্য বড় মহার্ঘ্য। সাজা ও মামলার খড়গ থেকে বের করে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে দলটি। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, জাতীয় নির্বাচন, পতিত হাসিনা সরকারের নিপীড়নমূলক মামলা ও সাজার নিষ্পত্তি, রাজনৈতিক সংস্কারের ধরনসহ বহু ইস্যুতে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। দীর্ঘ স্বৈরশাসনে নিপীড়িত, বঞ্চিত, বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সামলে রাখা এরই মধ্যে কঠিন হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নিজেদের অবস্থান নিয়েও দোলাচলে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আবার রাজনৈতিক সহযাত্রী জামায়াতের নব-উত্থানও স্নায়ুচাপ তৈরি করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, উদারনীতি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে পথচলা আবারও কণ্টকাকীর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে