রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
এক কেজি বেগুনের দামে চার কেজি আলু!

এক কেজি বেগুনের দামে চার কেজি আলু!

ফাইল ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার হাট-বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বাড়লেও আলুর দর পতন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে এক কেজি বেগুণের দামে চার কেজি আলু (পুরাতন) মিলছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং আলু (পুরাতন) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন করছেন না। কেউ কেউ সংসারের প্রয়োজনে হিমাগারে রাখা আলু পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে আলুর দাম কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা দিশেহারা ও হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আদমদীঘির কদমা গ্রামের আলু চাষি হজরত আলী, মুসা ফকির, রাশেদুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আলুর দাম কমে যাওয়ায় আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠবে না।’

গত রবিবার সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমের (শীতকালীন) সব শাক-সবজি উঠেছে। সব শাক-সবজির দাম চড়া। প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পালংশাক ১০০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, দেশি পিঁয়াজ ৭০ টাকা ও ভারতীয় পিঁয়াজ ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজি।

আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকার আতারউর রহমান মিলন মাস্টার বলেন, ‘দাম চড়া হওয়ায় চলতি মৌসুমে আমরা সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই দ্রুত এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব সবজির দাম চড়া হলেও আলুর দাম অনেক কম। কারণ গতবছর পর্যাপ্ত পরিমান আলু উৎপাদন হয়। আবার বাজারে চলতি বছরের নতুন আলু আসা শুরু করেছে। তাই গত বছরের আলু বিক্রি না হওয়ায় এখন দাম কমেছে।’

কুণ্ডুগ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে সব সবজির দাম অনেক কম। কিন্তু হাত বদল হয়ে সবজি বাজারে আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষজনকে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে গত মৌসুমে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। এর মধ্যে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেন। বাকি আলু খাবার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে নিজ নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করেছেন কৃষকরা।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com