মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সরকারের উন্নয়নের সুফল : নবীনগরে নদীভাঙন থেকে মুক্তি পাচ্ছে মেঘনা পাড়ের ৪ গ্রামের মানুষ। কালের খবর গলাচিপা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী-আরিফুর রহমান খান। কালের খবর চট্টগ্রাম মহানগর বিচার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘মত বিনিময় সভায়, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। কালের খবর নবীনগরের সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের সৌদি আরবে কমিটি গঠন। কালের খবর। মুরাদনগরে জমকালো আয়োজনে ‘দৈনিক গণ মানুষের আওয়াজ’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। কালের খবর বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে যোগ্য নাগরিক দরকার: আলফাডাঙ্গায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হক। কালের খবর নবীনগরের আ.লীগ সভাপতি সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারনা শুরু। কালের খবর সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ক্ষেত্রে চালু হলো অপারেশন থিয়েটার। কালের খবর হত্যা-অত্যাচার করে আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি : প্রধানমন্ত্রী। কালের খবর
সাংবাদিকতার কিংবদন্তি প্রয়াত এবিএম মূসার ৮৭তম জন্মদিন

সাংবাদিকতার কিংবদন্তি প্রয়াত এবিএম মূসার ৮৭তম জন্মদিন

 

 

 

 

 

 

এম আই ফারুক আহমেদ, কালের খবর :

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কিংবদন্তি প্রয়াত এবিএম মূসার ৮৭তম জন্মদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি । দীর্ঘ ৬৪ বছরের সাংবাদিকতায় তিনি এদেশের গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধ করে গেছেন নিজের আধুনিক চিন্তা-চেতনায়। শেষ জীবনে এসে টেলিভিশন টকশোতে সত্য ও সাহসী উচ্চারণ
করে তিনি পেয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার জীবনে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক। সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় একুশে পদকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালের ৯ই এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জন্মদিন উপলক্ষে এবিএম মূসা সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এবার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হচ্ছে প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানীকে। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকগণ অংশ নেবেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফ থেকে তার সাংবাদিকতার জীবন শুরু। ঐ বছরে তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি অবজারভারে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমসসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি- বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

কালের খবর  -/২৭/২/১৮

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com