মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৩নং ওয়ার্ডের
মৌচাক ও মাদানীনগর এলাকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড বিহীন এবং পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধ ভাবে চলছে রাবার ফ্যাক্টরি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোন ফায়ার সার্ভিসের সেফটি ছাড়া অগোছালো-এলোমেলো অবস্থায় জমজমাট চলছে রাবার তৈরীর কাজ। উক্ত বিষয়ে ম্যানেজার শাকিল, এর কাছে পরিবেশের ছাড়পত্র ও ফয়ার সেফটি বিষয়ে জানতে চাইলে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ করতে থাকে। শুধু তাই নয় সাংবাদিকে দেখে নিবে বলেও হুমকি ধামকি প্রদান করে, সাথে তার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করতে থাকে। ম্যানেজার শাকিল আরো বলে, এখানে বাদল কাউন্সিলর আছেন তিনিই ব্যাপারটা বুঝে নিবেন, আমরা এখানে দুর্বল হয়ে ব্যবসা করছি না। পরবর্তী ম্যানেজার শাকিল, উচ্চ সুরে ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে যান বলে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়। উক্ত বিষয়ে কাউন্সিলর বাদলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সাজানো,মিথ্যা এবং এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না বলে জানান। উল্লেখ্য যে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে চলছে রাবার তৈরির ফ্যাক্টরিসহ আরও অন্যান্য কল কারখানা। এই সমস্ত অবৈধ কল কারখানার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ করার মত কেউ নেই। কারণ ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, তিনি একজন অত্যন্ত গণ্যমান্য সম্মানি ব্যক্তি বলেই তার কথা শুনা মাত্রই সবাই বিষয় গুলো এড়িয়ে চলেন। সরকারি কনো নিয়ম-নীতি তয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে ওইসব অবৈধ মিল ফ্যাক্টরি কারখানা। ওই সমস্ত মিল-ফ্যাক্টরিতে বিশেষভাবে নিরাপত্তার অগ্নি নির্বাগ এর ঝুঁকি রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কোন সেফটি না থাকায় মুহূর্তে অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার বেশিভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এইসমস্ত অবৈধ মিল-ফ্যাক্টরি কারখানার দুর্গন্ধ ধোঁয়া ও দূষিত বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে এলাকায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হয়। মাদানী নগর রাবার ফ্যাক্টরিটি অবৈধ হলেও প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের বিষয়টি অজ্ঞাত কারণে গুরুত্ব দিচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমানকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। (০১৭১২-৭২৭৮৭২)