বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতি। কালের খবর দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন সাঞ্জু রায়। কালের খবর প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হক জিয়া আর নেই। কালের খবর ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর
সাতক্ষীরায় রোদ উপেক্ষা করে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। কালের খবর

সাতক্ষীরায় রোদ উপেক্ষা করে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। কালের খবর

 

মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরা, কালের খবর :
পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে জনগণের সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশ। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটা করতে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সাতক্ষীরা শহরে আসার ফলে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে,অবৈধ যানবাহন ও অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে নিরলস ভাবে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) শ্যামল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করছেন তারা। দিন ব্যাপী ট্রাফিক পুলিশের এ তৎপরতা দৈনিক কালের খবর -এর চোখে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। একই সময়ে নির্ধারিত স্থানের বাইরে গণপরিবহনে চলন্ত অবস্থায় গাড়িতে যাত্রী তোলা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং,পাকাপুল মোড়,নিউ মার্কেট মোড়,সঙ্গীতা মোড়,কেষ্ট ময়রার ব্রিজ,খুলনা রোড মোড় এই এলাকা গুলোতে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কেনাকাটা করতে এসে সে গুলোতে গাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা জুড়ে দখল করে আছে ইজিবাইক,ভান,মোটরসাইকেল,প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন যানবাহন।ফলে সব সময় যানজট লেগেই থাকছে, আর যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ। পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চলাচল এবং সাচ্ছদ্যে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ।
যানজট নিরসনে ১ লা এপ্রিল দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি,আই) শ্যামল কুমার চৌধুরীর কাছে এ ব্যাপারে গৃহীত কোন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, যানজট নিরসনে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকতার সাথে নিরলস ভাবে সকাল ৭টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি জানান, দিনের বেলায় জরুরী সেবা ব্যতীত (সকাল ৮টা- রাত ৮টা) কোন ভারী যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। দুটি ইউনিটে ভাগ হয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশের চৌকস সদস্যরা। তিনি আরও বলেন,বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে বাইরের অনেক অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন বেশি ইনকামের আশায় শহরে ঢুকে পড়ায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে,এখনই এর একটা ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ছে। সড়কে বেশ কিছু দিকে উন্নতি হচ্ছে। যানজট নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা আশানুরূপ পূরণ করতে কাজ করে চলেছি। যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। তবে তিনি বলেন,শুধু পুলিশের পক্ষে মামলা, জরিমানা আদায় করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। এ জন্য যাত্রী ও পথচারী তথা সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। ডিউটিরত অবস্থায় একজন ট্রাফিক পুলিশের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে কী কী সমস্যায় পড়তে হয় তা জানতে চাইলে দায়িত্বরত এ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বলেন, প্রচুর মাথা ব্যথা হয়, চোখের জ্বালাপোড়া হয়। একটানা দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। তিনি আরও জানান, এই সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ট্রাফিক পুলিশদের চিকিৎসা নিতে হয়।তিনি আরো জানান, রোদ,বৃষ্টি,ঝড় যাই হোক না কেন রাস্তায়ই থাকতে হবে। বেশির ভাগ মানুষই ট্রাফিক সিগন্যাল মানতে চায় না। তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তদবিরে।
৫০০ টাকা জরিমানা করলেই ফোন ধরিয়ে দেয়। উল্লেখ্য,দেশের ছোট ছোট রাস্তা থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত যানবাহন ও সকল যাত্রীর এক মাত্র অতন্দ্র প্রহরী ‘ট্রাফিক পুলিশ’। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সকলের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখেন তারা। ট্রাফিক পুলিশরা সাধারণত দুই শিফটে কাজ করে থাকেন। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এই পুরোটা সময় তাদের খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে কিংবা বৃষ্টিতে সর্বদা মনোযোগের সাথে কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। কেননা তাদের হাতের ইশারার একটু ভুলে থমকে যেতে পারে পুরো শহরের সড়ক ব্যবস্থা। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সবশেষে সবাইকে সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
ট্রাফিক সার্জন মাহবুব আলমকে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখেন দৈনিক কালের খবর,যানজট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যানজটের মূল কারণ হল সাতক্ষীরা শহরে মানুষের তুলনায় রাস্তা খুবই ছোট এবং ঈদের কেনাকাটা করতে গ্রাম থেকে শহরে আসছে মানুষ সাথে শহরের মানুষ তো আছেই। তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সব কিছু সামাল দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
এ ছাড়া ইজিবাইক চালকদের সতর্ক করা,কোনো অবৈধ ষ্ট্যান্ড গড়ার জন্য যানবাহন চালকদের অনুরোধ জানান এ কর্মকর্তা। আমিনিয়া মার্কেট এর এক দোকানদার বলেন,রোদ,বৃষ্টি,ঝড় যাই হোক না কেন ট্রাফিক পুলিশরা সব সময় মাঠেই (রাস্তায়) থাকে। কোনো মুহূর্তেই এরা সেবা থেকে বাইরে থাকে না। ভারী বর্ষণেও ছাতা বা রেইন কোর্ট নিয়ে রাস্তায় কাজ করতে হয়। আর থাকার সুযোগও নেই। তিনি আরো জানান,কখনো কখনো ট্রাফিক পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষ অনেক সময় খারাপ আচরণ করেন বলেও আমি দেখেছি। তাঁর ভাষ্য,সাধারণত ট্রাফিক পুলিশের কাছে অস্ত্র থাকে না। জনগণ মনে করেন, কাউকে গ্রেফতারের ক্ষমতা ট্রাফিক পুলিশের নেই। তাই অনেক সময় খারাপ আচরণও হজম করতে হয় তাদের।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com