মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
পর্যটন নগরী কক্সবাজার কলাতলী হোটেল মোটেল জোনে হোটেল ড্রিম জোনে সানমুন নামের একটি স্পা সেন্টার গড়ে উঠেছে। সানমুন স্পা সেন্টারে তরুণীদের দিয়ে বডি ম্যাসেজের নামে চলছে ভয়াবহ দেহ ব্যবসা। সচেতন মহল আরো অভিযোগ করে বলেন, সানমুন স্পা থেরাপি সেন্টার নাম দিলেও কোনো অনুমোদন নেই স্পা মালিক মাহমুদুল হক মামুনের কাছে।
ওই সব অবৈধ স্পা সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছে এলাকার সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, হোটেল মোটেল জোনে বিভিন্ন নামে বেনামে স্পা সেন্টার গড়ে উঠেছে। হোটেল ড্রিম জোনে ৮ তলায় সানমুন নামের একটি স্পা সেন্টার রয়েছে। সৈকত পাড়াবাসীর দাবী, রাস্তার উপর এইধরনের স্পা সেন্টার দেখতে আপত্তিকর, সানমুন নামের স্পা বন্ধ করতে এলাকাবাসী জোর দাবী তুলছেন। মেনেজার মিজানের নেতৃত্বে চলছে এ অবৈধ স্পা।
আরো রয়েছে সৈকত পাড়া কক্স অবকাশ হোটেলে লাক্সারি থাই স্পা, জিনিয়া রিসোর্টে রয়েছে, বহু বিতর্কিত’স্পা কর্মী রিতার মালিকানাধীন স্মার্ট থাই স্পা। সচেতন মহল বলেন, বিভিন্ন প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এ সমস্ত স্পা কেন্দ্র গুলো বিভিন্ন হোটেল ও অভিজাত হোটেলে মাসিক রোম ভাড়া নিয়ে এ ব্যবসা করছে।
এসব স্পা গুলোতে যৌন উত্তেজক কলা কৌশলে সুন্দরী নারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা । কিছু স্থানীয় পরিবারের স্কুল পরোয়া ছেলেরা আর কিছু পর্যটক এবং এনজিওতে কাজ করা কর্মকর্তা কর্মচারীরা মূলত এদের গ্রাহক। ফুল বডি ম্যাসেজ ঘণ্টায় ২৫০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারন করা আছে।
প্রতিটি স্পা কেন্দ্রে ৮/১০ জন সুন্দরী নারী থাকে। আপনি চাইলে সেখান থেকে পছন্দ মত যে কোন নারীকে নিয়ে ম্যাসেজ করাতে পারেন। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব স্পা কেন্দ্রগুলো খোলা থাকে বলে জানান এলাকাবাসী। এদিকে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে আর সামাজিক নৈতিকতাকে বিলুপ্ত করতে শুরু হয়েছে নতুন এব্যবসা যার নাম স্পা।
এই স্পা ব্যবসার আড়ালে যে হারে বেড়েছে যৌনতা ও দেহ ব্যবসা তার দিকে খেয়াল নেই কারোর, এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। নিবন্ধন বিহীন আর উচ্চ মূল্যের এ ব্যবসার কোন আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছেনা ওসব ব্যবসায়ীরা। শুধু নাম মাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বৈধ ব্যবসার নাম দিয়ে অসমাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার কে পুঁজি করে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ঘিরে গড়ে তুলেছে এ ম্যাসেজের নামে যৌনতা । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেল মোটেল জোনের অলিতে গলিতে এ স্পা গুলোর বিজ্ঞাপনের প্লে কার্ড শোভা পাচ্ছে। স্থানিয়রা জানান, শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকায় শুধু তাদের এ ব্যবসা। পর্যটন কেন্দ্রীক এ ব্যবসায় সুন্দরী নারীদের দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরী নারীদের এনে আর কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা এসব কাজে জড়িত বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
যদিও এগুলো পরিচালিত হচ্ছে নারীদের দিয়ে। কিন্তু পর্দার আড়ালে রয়েছে অনেক রাঘব বোয়াল। এসব রাঘব বোয়ালদের নামের তালিকা এসেছে দৈনিক কালের খবর পত্রিকা অফিসে। আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মোটেল জোনের অধিকাংশ লোকজন জানান, “স্পা নামক এ ব্যবসা হলো অভিজাত পতিতা ব্যবসা। বডি ম্যাসেজের নামে অবাদ যৌনতা। তারা ব্যবহার করে সুন্দরী নারীদের। এছাড়া সমান তালে চলে ইয়াবা কারবারও”। এ ব্যবসাগুলো বন্ধে প্রশাসনের নিয়মিত টহল জোরদারের দাবী জানান এলাকাবাসী। সালাম নামের এক জন বলেন মুলতঃ স্পা ব্যবসার নামে অভিজাত পতিতা ব্যবসা চলছে বলে আমিও শুনেছি। যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে এ ব্যবসা বন্ধ হওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছে এলাকাবাসী। চলবে পর্ব-১। বিভিন্ন তথ্যসহ বিস্তারিত সংবাদ আসছে।