সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর মুরাদনগরে তীব্র গরমে একই বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। কালের খবর ফায়ার ও পরিবেশ ছাড়পত্র জানতে চাওয়াতে ম্যানেজার সাকিল, সাংবাদিকের সাথে অশুভ আচরণ। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর মুরাদনগরে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত। কালের খবর স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জরুরি। কালের খবর সাতক্ষীরায় চার পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক এক। কালের খবর সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই। কালের খবর তারুণ্যের অহংকার ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। কালের খবর এক দফার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে বর্তমান যুবদল সরকারের সাথে আঁতাত করেছিল : অভিযোগ সাবেক নেতাদের। কালের খবর
কক্সবাজারে গভীর রাতে রেস্তোরাঁ দখলে নিতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কালের খবর

কক্সবাজারে গভীর রাতে রেস্তোরাঁ দখলে নিতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। কালের খবর

 

# ৯৯৯ এ কল দিয়েও কোন সহযোগিতা পাইনি।
## থানায় লুটপাট ও জোরপূর্বক দখল,মারধরের বিষয়ে মামলার জন্য এজাহার জমা দিলেও সামান্য মারামারি মামলা নিয়ে দায়সারা করেন ওসি।
# উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

নূরুল আবছার, ক্সবাজার প্রতিনিধি, কালের খবর :

কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার ইনানীতে হোটেল রয়েল টিউলিপের সাথে লাগোয়া ঠিক দক্ষিণ পাশ্বে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে একটি রেস্তোরাঁ দখল নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১০ মার্চ ( রবিবার ) ইনানিস্থ মা নুরমহল রেস্তোরাঁতে এই হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। রাতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে। সাথে রেস্তোরাঁর মালিক পক্ষকে বেদম মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে ঐ রেস্তোরাঁকে দখলে নিয়েছে। ৯৯৯ কল করেও কোন সুরাহা পাইনি ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁ মালিকপক্ষ।

ভুক্তভোগী নাছির, বাবুল,ও নাছিরে শাশুড়ী বলেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু কালামের ছেলে মামুন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে রাতের আঁধারে হঠাৎ হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক আমাদের নিজস্ব রেস্তোরাঁটি দখলে নিয়েছে। এইসময় নগদ টাকা ও রেস্তোরাঁর সমস্ত সরঞ্জাম ও আসবাব পত্র লোটে নিয়ছে। আমাদেরকে প্রচন্ড মারধর করেছে। এতে প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী নাছির আরোও বলেন, আমি দীর্ঘ বারো বছর যাবৎ আমার শাশুড়ির জায়গায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালিয়ে এসেছি। কিন্তু কোন খবরাখবর না জানিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জোরপূর্বক আমাকে মেরে বের করে দিয়ে রেস্তোরাঁটি দখলে নিয়েছে। এসময় স্থানীয় থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের জন্য যোগাযোগ করা হলেও কিন্তু থানা প্রশাসন আমাদের কোন সহযোগিতা করনি। তারা সন্ত্রাসীদের যোগসাজশে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে রেস্তোরাঁ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নেয়ার পর থেকে নিরুপায় হয়ে দিনযাপন করছি। কোনরকম এই ব্যবসা চালিয়ে সংসার চালানো হতো। এখন স্থানীয় ভূমিদস্যু আবুল কালাম ও তার ছেলে মামুন, কক্সবাজার বাহারছড়ার নুরুল আলম, বাবুলসহ – মিলে জায়গা দখলে নিয়েছে। এতে কোন সুরাহা না পাওয়ায় এখন পথের ভিখারি হয়ে পড়েছি।

রেস্তোরাঁ স্বত্বাধিকারী মালিক বাবুল এবিষয়ে একটি সন্ত্রাসী কায়দায় লুটপাট ও জমি জবরদখলের বিষয় নিয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলার জন্য এজাহার জমা দিলেও কিন্তু থানা পরিশেষে একটি মারামারি মামলা নিয়ে দায়সারা করেন। এতে অভিযুক্তরা সবাই সুযোগ পেয়ে আরোও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশ সবসময় অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে কাজ করার কারণ কী এমনটি প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখা যায় যে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাওয়া রেস্তোরাঁ মা নুর মহল রেস্তোরাঁটি হঠাৎ সামনে নতুন টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কালাম ও তার বাহিনীরা। ভিতরে মাদকাসক্ত লোকজন দিয়ে বর্তমানে দখলে রেখেছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। এদিকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ঠের পেয়ে রেস্তোরাঁটি দখলে থাকা বকাটে লোকজন পালিয়ে গিলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু কালাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

ভূমিদস্যু কালাম বলেন, আমরা মূল জায়গার মালিক থেকে মারা যাওয়ার আগেই জায়গাটি ক্রয় করেছি। দীর্ঘদিন দখলে থাকা জায়গাটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হলেও তারা কোন প্রকারেই জায়গা ছেড়ে না দেয়ায় জোরপূর্বক দখলে নিয়েছি। কারণ স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান আমরা নিজেরাই তৈরি করি। নিজেরাই মন্ত্রী মিনিস্টার বানায়। যেখানে নিজেরা সালিশ করি সেখানে কিসের আদালত। আদালতের মাধ্যমে জায়গা নিতে গিলে লম্বা প্রসেসিং। তাই জোরপূর্বক দখল করেছি। আমাদের কথায় থানা কোর্ট চলে সেখানে কিসের বিচার। আমি কারোও কাছে মাথানিচু করে চলিনা। সুতরাং আপনারা নিউজ করিয়েন না। আপনাদের সাথে ঈদের পর বসে কথা বলব। কোন এমপি, মেম্বার, চেয়ারম্যান নেই আমাদের বিচার করার। সুতরাং জায়গাটি আমরা কিনে নেওয়া দীর্ঘদিন বেদখলে ছিল বলে দখলে নিয়েছি।

জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে এখনো কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে যান। পুনরায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ করেনি।

উখিয়া থানার ওসি শামীমের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কোনোপ্রকার সাঁড়া দেয়নি। এবং কল রিসিভ করেনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com