বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা। কালের খবর সাতক্ষীরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালী। কালের খবর সাতক্ষীরার আলীপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আব্দুর রউফ বিজয়ী। কালের খবর উপজেলা নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলুর প্রার্থীতা ঘোষণা। কালের খবর কক্সবাজারে স্পা’র আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কালের খবর ডেমরায় পরিবহনে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩ চাঁদাবাজ। কালের খবর রেলের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান যাত্রী কল্যাণ সমিতি। কালের খবর দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন সাঞ্জু রায়। কালের খবর প্রবীণ সাংবাদিক জিয়াউল হক জিয়া আর নেই। কালের খবর ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি। কালের খবর
কক্সবাজারে শতবছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে শিক্ষার্থীসহ ২০ পরিবার। কালের খবর

কক্সবাজারে শতবছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় বিপাকে শিক্ষার্থীসহ ২০ পরিবার। কালের খবর

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি নুরুল আবছার, কালের খবর :

কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ গোয়ালিয়াপালং গ্রামে ১৬০ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি পরিবারের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় একজন প্রবীণ মুরব্বি হোসন বলেন, দীর্ঘ ১৬০ বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সেন্ডিকেট। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা অসহায় পরিবারগুলো। তারা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াতেই চলাচলের জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে ফসলি জমি ও নদী দিয়ে যাতায়াত করছে।

স্থানীয় একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জানান গোয়ালিয়াপালং গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের চলাচলের এই সড়কটি প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ করে দেয়ার ফলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক ভোগান্তি। তারা বর্তমানে পায়ের জুতা, সেন্ডেল হাতে নিয়ে হাটু পরিমাণ পানি ও ফসলি জমির কাঁদা দিয়ে যাতায়াত করছে। নিরুপায় হয়ে নানা জায়গায় বিচার দিয়েও কোন সুরাহা পাইনি। ফলে অভিযুক্ত প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে অসহায় এসব পরিবারগুলো। কোন সুরাহা বের করে দিতে পারলেই উভয়ের জন্য উপকার হবে বলে মন্তব্য করেন।

এদিকে বই এবং ব্যাগ হাতে থাকা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জোর দাবি করে বলেন, আমার বাবা মা আমাদেরকে জন্ম দেয়ার পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতাম। এখন রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার কারণে আমাদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের পরিবার রাতের বেলায় কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। ফসিল জমি ও নদী দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের জন্য যাতায়াতের রাস্তা খুলে দিলে আমরা স্কুল মাদ্রাসা যাইতে পারব। আমাদের পরিবারগুলো এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।

অভিযোগকারীদের মধ্যে হোসন, রশিদ আহমেদ,ইমাম হোসেন,নুরুল আবছার,আবদুল্লাহ, হাবিব উল্লাহ, আরিফ উল্লাহ,দিলদার আলম,সৈয়দ আলম,,নুরুল আলম, বদিউর রহমান, সাব্বির আহমেদ,ছুরুত আলম,কামাল উদ্দিন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা অতি দরিদ্র মানুষ, আমাদের ছেলেমেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে যাতায়াত করতে কষ্ট হয়ে পড়ছে। আমাদের বাব দাদা আমলের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সেন্ডিকেট, তাদের এমন কান্ডে আমরা সকলেই অসহায় হয়ে পড়েছি। তারা আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য ,চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে গেলেও কোন সুরাহা হয়নি। যার ফলে দিন দিন আরো বেশি ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানান এসব পরিবার।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে, শামসুল আলম, জাফর আলম, আবুল কালাম, মনির আহমেদ, সৈয়দ উল্লাহ,জমির আহমেদ, এরা প্রত্যকেই এখন স্কুল শিক্ষার্থী ও অসহায় বিশটি পরিবারের জীবন নিয়ে খেলেছে। এরা একেবারেই নাচোর বান্দা। কোন সালিশ কোন বিচার তারা মেনে নিতে সম্পুর্ন নারাজ। তারা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে এখন মোটা অংকের টাকা দাবী করছে বলে জানা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হোসাইন, সুরত আলম, মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ আলম এরা স্থানীয় প্রবীণ মুরব্বি, এরা প্রত্যেকেই বলেন, শামসুল আলম ও তার ভাইয়েরা মিলে একটি জায়গার খতিয়ান দেখাচ্ছে যেটি খতিয়ান ও জায়গার ট্রেসের সাথে কোন মিল নাই। তবে দীর্ঘদিনেে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়া এটা সম্পুর্ন অমানবি। তারা চাইলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ না করে একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করতে পারত। কখনোও এবিষয়ে কথা বলিনি। আমরা সকলে দু পক্ষের মধ্যে একটা সমাধান প্রত্যাশা করছি।

এদিকে চলাচলের রাস্তা দখলে অভিযুক্ত আবুল কালাম চলাচলের রাস্তাটি তাদের খতিয়ান ভুক্ত জমি দাবি করে জানায় মোহাম্মদ হোসেন, রশিদ গংদের দখলে থাকা তাদের জমির দখল ফিরিয়ে না দেয়ায় রাস্তা দখল করা হয়।

খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান’ আবদুল হক’র কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন প্রকারেই কল রিসিভ এবং যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেনি। একাধিকবার তার পরিষদে গিয়েও দেখা যায়নি।

এসময় ভুক্তভোগী পরিবার গুলো তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি চলাচলের রাস্তা খুলে দিয়ে মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ লাগবে স্হানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com