বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের খবর : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম লামাপাড়া বাসিন্দা মৃত শামসুদ্দিন’র পুত্র রবিউল (৪৭) এর নিকট জমি বিক্রির ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার চাঁদা দাবী করেন তারই সহোদর ভাই আবু মিয়া (৪৯) গং। আবু মিয়ার দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় রবিউলকে মারধর করে প্রাণনাসের হুমকী দেয়। সে-ই সাথে বিক্রিত জমির দোকানঘর সহ রবিউল’র অটোরিকশার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে সন্ত্রাসী হামলা করে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। অসহায় রবিউল ভাইদের সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণনাসের ভয়ে স্ত্রী সহ দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে প্রায় দিশেহারা।
তথ্য সূত্রে জানা যায়- রবিউল’র পিত শামসুদ্দিন মৃত্যুকালে স্ত্রী সহ পাঁচ পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। সন্তানরা হলেন- স্ত্রী রাহেলা খাতুন, রাজ্জাক মিয়া (৫৫), এছেক মিয়া (৫৩), তারু মিয়া (৫১), আবু মিয়া (৪৯), রবিউল (৪৭), কন্যা মিনারা বেগম।
পিতার মৃত্যুর পর পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ১.২৭ শতাংশ মা রাহেলা খাতুন’র কাছ থেকে সাবকা বলা মূলে ১ শতাংশ সহ মোট ২.২৭ শতাংশের মালিক হন। এ-ই ক্রয়কৃত জমি নিয়ে কিছুদিন বিরোধ থাকলেও এলাকাবাসীর মাধ্যমে এক পর্যায়ে বিরোধের মীমাংসা হয়। এমতাবস্থায় ও-ই জমির কিছু অংশ ভাইদের দখলে থাকায় ভাইদের সাথে কোনরকম বিরোধ না করে ভোগদখল করেন ২.২০ শতাংশ। উক্ত জমিতে চারটি দোকান ও দোকানের উপর থাকার জন্য বসতবাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারণে গত ১৪ জানুয়ারী ১.৫৫ শতাংশ জমি মানিক মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এ-ই জমি বিক্রির পর থেকে ভাই আবু মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, এছেক মিয়া, তারু মিয়া, এবং ভাইদের ছেলে অর্থাৎ ভাতিজা জনি (৩৫), তুহিন (২৮), মমিন(২৫) সহ আরও অজ্ঞাত নামা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে কিছুদিন আগে ১৭ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। রবিউল টাকা দিতে অস্বীকার করায় আবু মিয়া সঙ্গীদের নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রয়কৃত জমির তিন দোকান ও ভাড়াটিয়ার রুমে তালা মেরে দেয়। রবিউল তালা লাগানোর কারণ জানতে চাইলে গত ৩১ জানুয়ারী রবিউলকে মারধর করে জখম করে।
এ-ই ঘটনার বিষয়ে রবিউলের স্ত্রী মাকসুদা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্ত দেয়া হয় এস. আই. বেলায়েত হোসেনকে। এ ঘটনার কোন তদন্ত শেষ না হতেই রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় রবিউল’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়। এমনটাই অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী। রবিউল এখন ভাইদের ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শংকিত। অসহায় রবিউল এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবীতে সহযোগিতা কামনা করেন।