সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
আহমেদ সাজু (সখীপুর) টাঙ্গাইল, কালের খবর ঃ
টাঙ্গাইলের জেলা কমিটির স্বাক্ষরিত সখীপুর উপজেলার পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়াও মিছিল সমাবেশ করেছে উপজেলা আ.লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ২টার দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা হতে ডাকবাংলো চত্তরে একত্রিত হতে থাকে। জেলা কমিটির এমন সমন্বয়হীন কমিটির প্রকাশিত তালিকা ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করলে, আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করেন।পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু,ভাইস চেয়ারম্যান কাজী বাদল,উপজেলার বিভিন্নস্তরের উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত শিকদার সাংবাদিকদের মাঝে লিখিত অভিযোগ পাঠ করে শুনান।এসময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সাবেক সাংসদ অনুপম শাজাহান জয়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে
ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে সখীপুরের রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন।উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শওকত শিকদার বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মিছিল স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে একি সময়ে বর্তমান সাংসদ এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের অনুসারীরা পৌরসভা চত্বরে একত্রিত হতে থাকে।কিন্তু তারা জেলা নেতাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পাল্টা-পাল্টি কোন মিছিল বের করেনি।
সখীপুর পৌরসভা মেয়র আবু হানিফ আজাদ বলেন, যেহেতু জেলা কমিটির স্বাক্ষরিত আমি মনে করি অবশ্যই রাজনীতির নানা গুন বিচার করে তালিকা করা হয়েছে। জেলা কমিটির প্রতি সম্মান রেখে এ কমিটি সমর্থন করি।
এবিষয়ে যাদবপুর ইউ/পি চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম আতোয়ার ফোনে বলেন,দীর্ঘদিন যাবৎ এই বৃহৎ দলের রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তাদের দিয়ে জেলা কমিটি সখীপুরের উপজেলা কমিটির পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে। এ কমিটি নিয়ে যারা সখীপুরের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করছে,তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
এবিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, দু’পক্ষের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি থাকাতে জনমনে যেন কোন ভীতি সৃষ্টি না
হয় সকাল থেকেই অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কথা ভেবে সর্বদা সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ । তবে আশার কথা হল, কোন পক্ষই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি।