মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবরঃ
আর মাত্র ৩ দিন পর নতুন বছর শুরু। অথচ যশোরে চাহিদার ৭৫ শতাংশ বই এখনো পৌঁছেনি। তারপরও চলছে বই উৎসবের প্রস্তুতি। এ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সকলেই হতাশ। কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ বই মিলবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ। অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেই বাড়তি ফি দিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তির পাশাপাশি যাবতীয় শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষতো বটেই, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম। সরকারের পক্ষ থেকে বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার কথা বললেও যশোরে চাহিদার ৭৫ শতাংশ বই এখনো আসেনি। বই সংকটের আশঙ্কায় অভিভাবকরা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানাগেছে, যশোরে চাহিদার মাত্র ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ বই এসেছে। মাধ্যমিক স্তরে এসেছে মাত্র ২৫ শতাংশ বই। এ পরিস্থিতিতে স্পষ্ট যে বছরের প্রথমদিন বই উৎসবে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই নতুন বই পাবে না। যদিও শিক্ষা অর্ফিস থেকে বলা হচ্ছে, আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে শতভাগ না হলেও ৭৫ শতাংশ বই পাওয়া যাবে।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে যশোর জেলায় সম্ভাব্য ৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের জন্যে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫টি বইয়ের প্রয়োজন। এরমধ্যে যশোরে মাধ্যমিক, দাখিল, এবতেদায়ী, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে বইয়ের চাহিদা ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০২ পিস। চাহিদার বিপরীতে জেলায় বই এসে পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৩ পিস। প্রাথমিক বইয়ের চাহিদা ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৭৩টি। অথচ পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২০৫ পিস বই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম বলেন, বই নিয়ে এখনো আশা হারাইনি। মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বই পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেয়া হবে। আমরা প্রতিদিনই যোগাযোগ রাখছি।