শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৩ সেপ্টেম্বর, রোজ শুক্রবার, বিকেলে ৪ ঘটিকায় “কর ন্যয্যতার” দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে,জায়েদ ইকবাল খানের পরিচালনা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এএএম ফয়েজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন, বাহারানে সুলতান বাহার,সভাপতি, জাগো বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, লাভলী ইয়াসমিন, সভাপতি, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, সালেহা ইসলাম শান্তনা,সভাপতি,মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন,আশা মণি,প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ কিষাণী সভা, রেহেনা বেগম,সহ – সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন,শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর, সভাপতি,ঢাকা মহানগর বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন,রুহুল আমিন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন প্রমূখ।
সমাবেশে কমরেড বদরুল আলম বাংলাদেশের কর ব্যবস্থাকে ন্যয্যতার রূপ দেয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেন বিদ্যমান পশ্চাৎপদ কর ব্যবস্থাকে প্রগতিশীল কর ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটাতে গোটা কর ব্যবস্থাকে ঢালাওভাবে সাজাতে হবে। প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা বলতে তিনি যাদের বেশী আয় তাদের উপর বেশি কর আর যাদের কম আয় তাদের উপর কম কর ধার্য্য করা বুঝিয়েছেন।
অধিকন্তু সম্পদ কর আরোপ করে করের আওতা সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করা সম্ভব কিন্ত তা করা হচ্ছে না। তিনি মূল্য সংযোজন কর(মূসক)বা ভ্যাটকে বেইনসাফী আখ্যা দিয়ে বলেন, ভ্যাট সকলের উপর নির্বিচারে ও স্তরে স্তরে আরোপ করা হচ্ছে ফলে ধনিরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে ও গরীবরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। তিনি অন্যায্য ভ্যাট পদ্ধতির অবসান দাবী করেন।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, অন্যায্য কর ব্যবস্থা জনজীবনে চরম দূর্গতি বয়ে এনেছে। জনগণ ক্রয়বিক্রয় ও সরবরাহ শেখলের প্রতিটি স্তরে কর প্রদান করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এ অন্যায্য কর ব্যবস্থা সমাজে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার পূনরউৎপাদন করছে। তারা নারী ও শিশুদের করের আওতা মুক্ত করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, “এ মূহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলছে। এ অধিবেশনে সর্বজনীন কর ন্যয্যতা সনদ ঘোষণা করার জন্য আমরা উদাত্ত আহবান জানাই।”
নেতৃত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কর ফাঁকি বন্ধ ও কর অবকাশ বাতিল করারও দাবী জানান। তারা আরো বলেন, বড় বড় কোম্পানি ও অতিধনীরা কর ফাঁকি দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি তারা দেশের সম্পদ বিদেশে অবৈধভাবে পাচার করে গাড়ি বাড়ি গড়েছে। মালয়েশিয়ার এমএসএইচ(মাই সেকেন্ড হোম) ও কানাডার বেগম পাড়া এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নেতৃবৃন্দ ট্যাক্স হেভেন বা ‘করস্বর্গ’ বলে কথিত দেশেগুলোর মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ করার দাবী জানান।