বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন। কালের খবর
শিক্ষাব্যবস্থায় সৃষ্টিশীলতার নামে বাচ্চাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছিনা তো?। কালের খবর

শিক্ষাব্যবস্থায় সৃষ্টিশীলতার নামে বাচ্চাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছিনা তো?। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

#অভিভাবক_যখন_অসহায়ঃ ছেলে স্বনামধন্য ও আপাতদৃষ্টিতে নিয়মতান্ত্রিক একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শেণীতে পড়ে। গণিত পরীক্ষার আগে ছেলের পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসে অভিভাবক খুশি। কিন্তু পরীক্ষার হল থেকে ফিরে সেই যে মন খারাপ করে ছেলে শুয়েছে, খাওয়া দাওয়া নেই, উঠার নাম নেই। একদম নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে। অভিভাবক এর বুঝতে বাকি রইলো না যে, পরীক্ষা ভালো হয়নি। সান্ত্বনা দিয়ে উঠিয়ে খাইয়ে বাকিদের খোঁজ নিতে বলা হলো। ছেলের বন্ধুদের মেসেঞ্জার গ্রুপে নিম্নোক্ত কথোপকথন দেখে বাবা স্তম্ভিত হয়ে গেলোঃ

ছেলেঃ আজ বেশির ভাগ অংকই তো বই এর বাইরে থেকে এসেছে এবং স্কুলে কখনো এসব নিয়মের অংক করানো হয়নি!
ছেলের এক বন্ধুঃ কেনো, গণিত স্যার কোচিং ক্লাশে যা পড়িয়েছেন সবই তো এসেছে!!

অসহায় অভিভাবক এর নীরব প্রশ্ন- “একই শিক্ষক স্কুলে যা পড়ান তা পরীক্ষায় আসেনা এবং তিনি তার প্রাইভেট কোচিংয়ে যা পড়ান, তা সবই পরীক্ষায় কমন পড়ে; তাহলে স্কুলের প্রয়োজনীয়তা কি? এটার নামই কি সৃষ্টিশীলতা?”

#একজন_স্বপ্নবাজ_মায়ের_হতাশাঃ এক কর্মজীবী নারীর একমাত্র সন্তান (ছেলে) গড়ে ৯৩% নম্বর পেয়ে স্বনামধন্য একটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে। মায়ের স্বপ্ন এবং ছেলের ইচ্ছে বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। বিশেষ একটি বা দুটি সাবজেক্টে ৯৪% না থাকায় গড়ে ৯৩% মার্কস পেয়েও বুয়েটে পরীক্ষাই দিতে না পারার হতাশায় মেধাবী ছেলেটা অন্য কোথাও মনযোগী হয়ে ভর্তি পরীক্ষাই দেয়নি। ফলাফল এতো মেধাবী একটি ছেলের শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে গেলো। স্বপ্নবাজ মায়ের হতাশা ও ছেলের অনিশ্চিত ভবিষ্যতই বলে দিচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতা!

ইংরেজি শেখানোর প্রতিষ্ঠান TESOL Bangladesh পেইজে একটি আপলোডে চোখ আটকে গেলো, যেখানে বিশ্বের স্বনামধন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে গ্লোবাল সিইও (CEO) হিসেবে ইন্ডিয়ান আধিপত্যের একটি লিষ্ট দেয়া হয়েছে, যা নিম্নরূপঃ

CEO of Google ??
CEO of Microsoft ??
CEO of Adobe ??
CEO of Twitter ??
CEO of Mastercard ??
CEO of Pepsi ??
CEO of IBM??
CEO of Albertsons??
CEO of Micron ??
CEO of Netapp??
CEO of Nokia??
CEO of Palo Alto??
CEO of Arista ??
CEO of Novartis??

লিষ্ট এর শুরুতেই গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে তাদের আধিপত্য এবং আমাদের ঘুনে ধরা শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসার ইংগিতে একটি স্টেইটমেন্ট আছে- “They are growing! How about us”?

সব মিলিয়ে কি মনে হয়, শিক্ষাব্যবস্থায় সৃষ্টিশীলতার নামে বাচ্চাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে আমরা একটি অথর্ব জাতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি না তো?

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com