বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
কালের খবর :
নতুন কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে অ্যাড মো. জিয়াউল হক মৃধার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
টেবিলে উপস্থাপিত ওই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সকল রেজিস্টার্ড, এমপিওর্ভুক্ত এবং আবেদিত ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি পরিচালিত ২৩১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এসব ঘোষিত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে নতুন করে কোন বিদ্যালয় জাতীয়করণের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
জিয়াউল হক মৃধার অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব উপজেলায় কোন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ নেই সেসব উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ সরকারিকরণের সিদ্ধান্ত সরকারের রয়েছে। সে আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম চলছে।
প্রাথমিকে ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য
এ কে এম মাঈদুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ২০ হাজার ৮৪৭টি। যার মধ্যে ঢাকা মহানগর, ভোলা, লক্ষীপুর এবং মেহেরপুর জেলায় মোট ৩৯৪জন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া নেত্রকোণা, কুষ্টিয়া ও ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পদগুলো পূরণের কার্যক্রম চলছে। বাকি পদগুলোতে চলতি দায়িত্ব প্রদানের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধান শিক্ষক পদটি ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় এই পদের নিয়োগ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) থেকে সম্পন্ন হয়ে থাকে। পিএসসি থেকে ৩৪তম বিসিএস থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণের জন্য ৮৯৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং তাদেও শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩৬তম বিসিএসে উন্নীতদের মধ্যে থেকে সরাসরি নিয়োগের জন্য পিএসসির নির্ধারিত ফরমে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশেরও বেশী মহিলা শিক্ষক
নূরুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় বার্ষিক জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২৫ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যার মোটসংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৭টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট ৫ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষাক কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৩ জন মহিলা শিক্ষক, অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৩.১৭ শতাংশই মহিলা শিক্ষক কর্মরত। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১জন করে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ বাৎসরিক ১০ কোটিরও অধিক টাকা সরকারের ব্যয় হয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছওে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য রাজস্ব বাজেটে সর্বমোট ১০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার ২০৬ টাকা ব্যয় হয়েছে।
কালের খবর/১৩/২/১৮