শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: থানচি-রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে বারণ সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি সহ আহত পাঁচ। কালের খবর সাপাহারে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত আম গাছ কাটল দূর্বৃত্তরা। কালের খবর বাঘারপাড়ায় হাঙ্গার প্রজেক্টের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র মতবিনিময়। কালের খবর রায়পুরায় মরহুম ডাঃরোস্তাম আলীর ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। কালের খবর ভাতৃত্ববোধ সুদৃঢ় করতে রায়পুরাতে দোয়া ও ইফতার। কালের খবর রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা। কালের খবর ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে গুনীজনদের আলোচনা সভা সম্পন্ন। কালের খবর আরজেএফ’র উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন। কালের খবর সাতক্ষীরার সুন্দরবন রেঞ্জে ২৪ জন হরিন শিকারীর আত্মসমর্পণ। কালের খবর
গাইবান্ধায় ভাতা বঞ্চিত অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের করুণ কাহিনী। কালের খবর

গাইবান্ধায় ভাতা বঞ্চিত অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমানের করুণ কাহিনী। কালের খবর

কালের খবর প্রতিবেদন :

সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারীগন দয়া করে একবার পড়ে দেখুন একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয়স্পর্শী, বেদনাপূর্ণ এবং করুণ কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ণনা।
জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান পিতা মৃত মনির উদ্দিন মুন্সি, জন্ম তারিখ ১৩/০৩/১৯৫৬, গ্রাম: রতনপুর, ডাকঘর: গুনভুরী, উপজেলা: ফুলছড়ি, জেলা: গাইবান্ধা একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা একইসাথে ১২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং সেন্টার “তুড়া”, মেঘালয়, ভারতে ২৮/০৫/৭১ তারিখ হতে ১৯/০৬/৭১ তারিখ পর্য্ন্ত প্রশিক্ষণ গ্রহন করিয়াছি। তিনি ১১নং সেক্টরে আমার কোম্পানীর ৩নং প্লাটুনের সহকারী কমান্ডার (2IC) ছিলেন। প্রশিক্ষন শেষে আমরা একই সাথে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্য্ন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন রনাঙ্গনে হানাদার পাকবাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলসামস্ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছি। জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান প্রতিটি যুদ্ধেই অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়াছেন। তাঁহার ভারতীয় তালিকা নং ৪৪৯২৫ (সংযোজন-২), গেজেট নং ৯৪৮ (সংযোজন-৩), লাল মুক্তিবার্তা নং ০৩১৭০৪০১৯১ (সংযোজন-৪), বামুস সনদ নং-২৫৭৬২ (সংযোজন-৫), সাময়িক সনদ নং-ম-২২১৫৫ (সংযোজন-৬) এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর হতেও স্বারক নং-মু-জা/২৮-২০/৩৯৭৫ তারিখ ২৩/১২/২০ (সংযোজন-৭) দ্বারা তাকে ভারতে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়ন পত্র ও প্রামান্য দলিলের (রেকর্ড অফ ট্রেনিছ) স্ক্যান কপি (সংযোজন-৮) দেয়া হয়েছে। আমার এই কোম্পনীর অনেকেই যুদ্ধাহত হয়েছেন এবং যুদ্ধাহত ভাতা পাচ্ছেন বাকি সকলেই সম্মানী ভাতা পেলেওে নির্বিচারে/উদ্দেশ্যমূলক জনাব মোঃ হাফিজুর রহমানকে তাহার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় তাহার বাড়ীঘর জায়গাজমি যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়ায় ভূমিহীন ও কর্মহীন হয়ে পরেন। ওয়াবদা বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়ে আর্থিক সংকটের মধ্যে কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকেন। তাহার আবেদনের প্রেক্ষীতে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার নির্দেশে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের তদন্ত প্রতিবেদন স্বারক নং—৩৯৯ তারিখ ০৯/০৯/১৮ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বারক নং ১০২৪ তারিখ ২০/৯/১৮ দ্রস্টব্য (সংযোজন-৯,১০)।
২০১৯ সালের শেষের দিকে ওয়াবদা বাধ সংস্কার করার কারনে বাঁধের উপরের আশ্রয়টুকুও তার হারিয়ে যায়। নিজের কোন জায়গাজমি না থাকায় আশ্রিত হিসাবে পরের জমিতে ছোট একটি ঘর তুলে (সংযোজন-১) গ্রামের ছোট মসজিদের মোয়াজ্জেম হিসেবে সমান্য বেতন এবং পরের সাহায্যের উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে অবহেলা, অবজ্ঞা এবং বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কারন বার্ধক্য জনিত কারনে কোথাও কাজ করার সামর্থ তার বা তার স্ত্রীর নেই।
সরকার কর্তৃক দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু হওয়ার পরথেকে অনেক আশা নিয়ে ভাতার জন্য অনেক আবেদন করেও অর্থাভাবে ভাতা কমিটির কারো মন জয় করতে পারেন নাই। তাহার অনেক আবেদনের মধ্যে (১) ২৪/২/২০১০ তারিখে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা বরাবরে (সংযোজন-১১), (২) ০৩/১০/২০১৪ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার সাহেবের সুপারিশ সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফুলছরি বরাবরে (সংযোজন-১২), (৩) ১৬/০৫/২০১৭ তারিখে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বরাবরে (সংযোজন-১৩,১৪), (৪) ২৯/০৭/১৮ তারিখে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষীতে (সংযোজন-১৫), স্বারক নং জেঃপ্রঃগাই/১৩৮৭ তারিখ ৩১/০৭/১৮ (সংযোজন-১৬), ও উঃজেঃনিঃঅঃফুলঃ ডকেট নং২৩৬৭-০৮/০৮/১৮ পত্র মতে সমাজসেবা অফিসার ফুলছড়ি তদন্ত করিয়া জনাব মোঃ হাফিজুর রহমানকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি সম্মানী ভাতা সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী বলে স্বারক নং ৫৯৮ তারিখ ২৩/১২/১৮ দ্বারা প্রতিবেদন দাখিল করেন। (সংযোজন-১৭), (৫) ০৬/১০/১৯ তারিখে উপজেলা কমান্ডার এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার সাহেবের সুপারিশ সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফুলছরি বরাবরে (সংযোজন-১৮) (৬) ০৪/১০/২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফুলছরি বরাবরে (সংযোজন-১৯,২০) (৭) ২০/১২/২০ তারিখে মাননীয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রনালয় বরাবরে ভাতার জন্য আবেদন করেছেন (সংযোজন-২১,২২)। সংযোজনী নং ১ এবং ৯ হতে ২১ পর্যালোচনা করে দেখা যায় উক্ত মুক্তিযোদ্ধা ভুমিহীন ও কর্মহীন অবস্থায় ওয়াবদা বাধের উপর ঘর নির্মান করে আর্থিক সংকটের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করিয়া মুক্তিযোদ্ধা অসচ্ছল ভাতার জন্য বার বার আবেদন করেন। বর্তমানে পরের জমিতে জরাজীর্ণ একটি ঘর তৈরি করিয়া আশ্রিত জীবন যাপন করছেন। ভাতা কমিটির ৪ জনের মধ্যে (১) মানীয় সংসদ সদস্য গাইবান্ধা-৫, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এবং (২) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ভাতা প্রদানের জন্য লিখিতভাবে সুপারিশ করিয়াছেন, (৩) সমাজ সেবা কর্মকর্তা, সদস্য সচিব, ভাতা কমিটি তদন্ত করিয়া ভাতা সহ সকল সুবিধাদি প্রদানের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন, এমন কি জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা মহোদয় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবকে নির্দেশ দিয়াছেন। কিন্তু অদ্যাবধি তাকে ভাতা দেয়া হয় নাই। যেখানে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ভাতা কমিটির ৩ (তিন) জনই ভাতা প্রদানের জন্য লিখিত সুপারিশ করিয়াছেন সেখানে কি কারণে অদ্যাবধি ভাতা দেয়া হয় নাই বিচার্য বিষয় (Points to be determined)। আসাকরি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন এবং নিজের জীবন বাজি রেখে পরিবারের কথা না ভেবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে মাতৃভুমিকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এমনই একজন অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি ন্যায় বিচার করবেন।
উক্ত মুক্তিযোদ্ধা MIS করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজ সেবা অফিসে জমা দিলে সমাজ সেবা কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করায় (সংযোজন-২৩,২৪) MIS এ তাঁর নাম এন্ট্রি করা হলেও (পরিচিতি নং ০১৩২০০০২৪৭৬) (সংযোজন-২৫,২৬) উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তাহা স্থগিত রাখা হইয়াছে ফলে মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয় নাই। যে কারনে সমন্বিত তালিকাতেও এই মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয় নাই। ইহাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম চিরতরে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস বলে প্রতিয়মান হয় এবং কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রিকসা চালাতে হবেনা, কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে না খেয়ে থাকতে হবেনা, কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবেনা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন উক্তি/ভাবনাকে সংশ্লিষ্ট ভাতা কমিটি মিথ্যা প্রমানিত করেছেন তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।
এখানে যেসমস্ত প্রমানক ও আবেদনের কথা উল্লেখ আছে সবগুলির ফটোকপি সকলের অবগতির জন্য সংযোজন-ক্রমিকে পোস্ট করা হল। আশাকরি সকলেই যাচাই করে নিজেদের মতামত লিখবেন এবং শিয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিবেন।
“মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার কস্টে থাকলে আমার প্রধানমন্ত্রী থাকা অর্থহীন” বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন আবেগময় উচ্চারণ এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দানের প্রেক্ষীতে আশান্বিত হয়ে এই অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কউন্সিল সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নেক দৃষ্টি কামনা করছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খায়রুল ইসলাম
কোম্পানী কমান্ডার, ১১নং সেক্টর
পরিচিতি নং- ০১১০০০০৪৭৮৫
মোবাইল নম্বর- ০১৭১২-০১৪৭৪০
Email: khairulffbd9@gmail.com

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com