শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর
বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান প্রর্থীসহ আহত ২০-অফিস ভাংচুর। কালের খবর

বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় চেয়ারম্যান প্রর্থীসহ আহত ২০-অফিস ভাংচুর। কালের খবর

বাঘারপাড়া থেকে সাঈদ ইবনে হানিফ, কালের খবর :

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠেছে বাঘারপাড়ার পরিবেশ। নির্বাচনী সহিংসতায় শুক্রবার রাতে উপজেলার বাসুয়াড়ী ও জামদিয়া ইউনিয়নের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘাত, সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০ জন কমবেশি আহত হয়েছে। আহতদের বেশির ভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করা হয়েছে ঢাকায়। অপর একটি ঘটনায় জনতা অস্ত্রধারী অজ্ঞাতদের আটকের ঘটনায় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে আহত হন নৌকা প্রতীকের একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর এক প্রার্থীকে কর্মীবেষ্টিত অবস্থায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একইসাথে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বহিরাগত তিনজনতে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলাম তিব্বতের পক্ষে গণসংযোগে আসেন আমুড়িয়া গ্রামে। তিনি সেখানে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতারত অবস্থায় হামলার শিকার হন। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসলাম হোসেন ও মেম্বর প্রার্থী মোরগ প্রতীকের সোলাইমানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নৌকার সমাবেশে হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা হলেন ভাঙ্গুড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রনি হোসেন, শাহীন রেজা, দেলোয়ার বিশ্বাস, ইদ্রিস বিশ্বাস, লিকু বিশ্বাস, আরিফুল মোল্লা ও আলী হোসেন। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় লিকুকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অনেকেই আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি হননি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে একই দিন রাতে ইউপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের খলিলপুর মধ্যপাড়ায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণসংযোগ করছিলেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান সরদার। এসময় ৫-৭টি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকেরা প্রবেশ করলে নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান সরদার তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। কয়েকশ’ এলাকাবাসীও অজ্ঞাতদের ঘিরে ধরে অস্ত্র আছে বলে দাবি করতে থাকেন। পাশেই থাকা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুর রহমান সরদারের সাথে ধস্তাধস্তিতে বহিরাগতরা পালিয়ে গেলেও অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রার্থী আমিনুর রহমান। সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরই মধ্যে বহিরাগতদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী দাবি করেছেন, সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।

নৌকার আমিনুর রহমানের কর্মী শামীম হোসেন দাবি করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের সাঈদ সরদার বহিরাহত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নিয়ে আসেন। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার সময় খলিলপুর মধ্যপাড়ায় প্রবেশ করে
এদিকে, সাঈদ সরদারকে অপহরণ করা হয়েছে গুজব ছড়িয়ে মাইকিং করে রাতে চাড়াভিটা বাজারে চার-পাঁচশ’ মানুষ জড়ো করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাঈদ সরদারকে পার্শ্ববর্তী মাহমুদপুর গ্রাম থেকে শতাধিক কর্মীবেষ্টিত অবস্থায় হেফাজতে নেয়। পরে তাকে চাড়াভিটা বাজারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রকাশ্যে পুলিশ সাঈদ সরদারকে বহিরাগতদের ব্যাপারে জেরা করতে থাকেন। রাত ১১টার দিকে এই রিপোর্ট লেখার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ সার্কেল মুকিত সরকার ঘটনাস্থলে ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ওয়াহিদা আফরোজ জলি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের জানান, জনগণ তিনজনকে অবরুদ্ধ করেছিল। তাদেরকে উদ্ধার করে হেফাজতে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com