বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সাঈদ ইবনে হান, বাঘারপাড়া (যশোর), কালের খবর : মাদক ও জুয়াড়ীদের অভয়ারণ্য পরিনত হয়েছে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব এলাকা। এই এলাকায় হাতের নাগালে মাদক ও জুয়ার আড্ডা খানা তৈরী হওয়ায় দিনে দিনে এমন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ সহ শত শত শিশু কিশোর। যুব সমাজ ও শিশু কিশোরদের এই অধঃপতনের বিষয়ে বেশিরভাগ অভিভাবক গন কোন খোঁজখবর রাখে না বলে প্রতিওমান হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে মাদক ও জুয়ার ছোবলে উঠতি প্রজন্ম ধ্বংসের পাশাপাশি ভয়ংকর হয়ে উঠবে বলে আশাংকা ব্যাক্ত করেছেন স্বচেতন মহল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রাধানগর, বাগডাংগা, ঘোষনগর, জামালপুর, বাসুয়াড়ী, আলাদীপুর, বরভাগ, এগারোখান,বাকড়ী, এলাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় আশাংকা জনক হারে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন ও কারবারীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মধ্যে নেশায় জড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । এসব এলাকায় একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জুয়াড়ীদের আড্ডা। যা নিয়ে এলাকার স্বচেতন মহল রীতিমতো উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে । স্বচেতন মহল বলছেন, মাদক কারবারিদের প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন ধরনের জুয়াড়িদের এই মূহুর্তে দমন করতে না পারলে আগামী দিনের ভবিষ্যত ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। একটি সূত্র দাবি করেছেন, মাদক কারবারি, সেবনকারি , ও জুয়াড়ীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনের জানা থাকলেও বেশিরভাগ সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিদের সদইচ্ছা না থাকায় তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এবিষয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও সমাজ কর্মী বলেন, আমরা এমন অনেক কেই চিনি যারা খুব ভালো পরিবারের সন্তান ছিল। মাদকের নেশায় ও অসামাজিক লোকের সংস্পর্শে পড়ে তাদের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আবার কারও ধুকে ধুকে মৃত্যু হয়েছে। তারা যাদের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেছে সে বা তারা কিন্তু নিম্ন বর্নের এবং ভিন্ন ধর্মের। শিক্ষক ও স্বচেতন মহলের দাবি, বর্তমানে এসব এলাকার বেশির ভাগ শিশু কিশোর জড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকের নেশায়। আর যুব সমাজের একটি অংশ রয়েছে জুয়ার আড্ডায়। এসব বিষয়ে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলেও তারা আমলে নিচ্ছে না বলে জানান। অপর একটি সূত্রের দাবি, বর্তমানে এই এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে মাদক জাতীয় দ্রব্য সরবরাহ ও বেচাকেনা হচ্ছে। এসব এলাকায় এমন কিছু রিক্সা ভ্যান চালক রয়েছে যাদেরকে কোন যাত্রী বা ভাড়া টানতে দেখা যায় না। এরা নির্দিষ্ট কিছু সময়ে খালি গাড়ি চালিয়ে এদিক সেদিক বেড়ায়। আবার এমন কিছু লোক রয়েছে যারা সারা বছর কোন প্রকার কাজকর্ম করে না কিন্তু খায়দয় ভালো। ধারণা করা হচ্ছে গ্রামের আনাচে কানাচে যত্রতত্র দোকান পাট তৈরি হওয়ায় শিশু কিশোরদের হাতের কাছে নেশা জাতীয় দ্রব্য পাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন বেগ পেতে হচ্ছে না। যে কারণে দিনে দিনে পাড়া মহল্লার শিশু কিশোরদের মধ্যে মাদক কারবার ও সেবনের প্রবনতা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা ভাবিয়ে তুলেছে স্বচেতন মহল কে।