সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর :
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ( ইউপি) নির্বাচনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী কমরেড. মোস্তাফিজুর রহমান (লাল) মিয়াকে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে আলাদীপুর বাজারের আফরা সেখহাটি সড়কের পাশে মনোয়ারা মার্কেটে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাজা হোমিও ফার্মেসীর সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে এই হুমকি দিয়েছে বলে লাল মিয়ার অভিযোগ। ( লাল মিয়া) ইউনিয়নের সব শ্রেণির মানুষের কাছে একটি পরিচিত মূখ।
তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই এর শেষ দিন ৪ নভেম্বর বিকালে তার হোমিও ফার্মেসীতে আসার পর পরই হটাৎ দু’জন মটর সাইকেলে এসে অকাট্য ভাষায় আসল চেহারা দেখাবে কিছুক্ষণ পর বলে প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
কমরেড, মুস্তাফিজুর রহমান ( লাল মিয়া) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত ৯ নং জামদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী । তিনি আরও বলেন, গত ১ অক্টোবর বাঘারপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করার সময় ও কিছু দুর্বৃত্ত তাকে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এসব বাধা বিগ্ন উপেক্ষা করেও সোজা অফিসের ভিতর প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে প্রায় পনের বিশ জন দুর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ হয়ে কথা কাটাকাটিরব একপর্যায়ে দুর্বৃত্তায়ন দল তাকে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে তার কাছ থেকে সমস্ত কাগজ পত্র ছিনিয়ে নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী না হতে হুমকি দেয়। এসব ঘটনা তিনি তাৎক্ষনিক ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্র , জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেন। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পরদিন আবার নির্বাচন অফিসে যেতে বলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাঘারপাড়া থানার ওসির সহায়তায় পুনরায় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে ওই দিনই মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
এ বিষয়ে ওয়ার্কাস পাটির প্রার্থী ( লাল মিয়ার) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি তো কার ও বিরুদ্ধে নির্বাচনে আসিনি। পার্টির সিদ্ধান্তে এসেছি। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় অটুট রয়েছি। তবে এ ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে বা আমাকে বারবার যারা হুমকির ধামকি দিচ্ছে তাতে আমারতো সমস্যা নেই, আস্তে আস্তে নিজেরাই থেমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, জীবন থাকতে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আশা ছিল না মনোনয়ন পত্র জমা দিব কারণ চারিদিক থেকে হুমকি আসছিল। অনেক প্রার্থী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলন নির্বাচন করবে না। কিন্তু হঠাৎ করে এক অজানা কারণে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়, বিষয় টি ঘোলাটে বলে মনে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে জানিয়েছেন সাধারন ভোটাররা।