রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি :
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উচ্চ মূল্যের কারণে তাড়াশ উপজেলার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পরেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তাড়াশে হাট বাজার গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, মাংস, ডিম, সয়াবীন তেল, চিনি, আটা, শীতকালীন সবজি সহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।
তাড়াশ মান্নান নগর বাজার এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী রেজাউল হোসেন জানান, কিছুদিন পূর্বে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগির দাম ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে পৌছেছে ২৭০ টাকায়। কিছু দিন আগে যে দেশী মুরগির দাম ছিল ৩৫০ টাকা এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৭০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা।
মান্নান নগর বাজারের কাঁচা মালের ব্যবসিক মোতালেপ হোসেন জানান, বর্তমান খুচরা বাজারে ভাল মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, শাক ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মান্নান নগর বাজার এলাকার মুন্না হুসাইন হোসেন জানান, মাস খানেকের ব্যবধানে চিনি, সয়াবিন, রুলার আটা, গমের আটা, মশুরের ডালের দাম বেড়েছে। বর্তমান প্রতি কেজি চিনি ৮০ টাকা, রুলার ময়দা ৪৮ টাকা, গমের আটা ৩৫ টাকা, ভাল মানের মশুরের ডাল ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ডিম বিক্রেতারা জানান, প্রতি হালি মুরগির ডিম ৩৫ টাকায় এবং হাঁসের ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছ ও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এ ব্যাপারে পৌর সদরের আলামিন জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল দ্রব্যের দাম বেড়েছে। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। দিন আনি দিন খাই। প্রয়োজনীয় দব্য ক্রয় করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পরেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পক্ষে জীবন ধারণ করা আরো বেশি কঠিন হয়ে পরবে। তিনি দ্রব্য মূল্য ক্রয় সীমার মধ্যে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মহেশরৌহালী মহল্লার চায়ের দোকানদার আবুল হোসেন জানান, জিনিষ পত্রের দাম বাড়ায় সংসার চালানো খুবই কঠিন হয়ে পরেছে।