মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক :
যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের এন্ড কলেজ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মণির পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিতে দল-বল নিয়ে স্টেজে উঠেই রাগ ও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয় এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মুন। এরপর
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও গর্ভনিং বডির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের বিরুদ্ধে এ রাগ ঝাড়েন ঢাকা-৫ আসনের এমপি।
রবিবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) সোয়া ১১ টায় সায়দাবাদ জনপদ মোড়স্থ যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শনে আসেন শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি। এরপর শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের উদেশ্য গঠনমূলক বক্তব্য রেখে চলে যান তিনি।
স্টেজে উঠেই মাইক হাতে নিয়ে এমপি মনু বলেন,
এখানে ( আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ) কেনো বাজে লোকদের এক্সপোর্ট করা হলো, আমি তা জানি না। কারা এক্সপোর্ট করলো। এ এলাকায় যথেষ্ট যোগ্যলোক থাকতে বাহির থেকে কেনো এক্সপোর্ট করা হলো আর কারাই বা ইমপোর্ট করলো। এখানে শিক্ষা চাই, দুর্নীতি নয়।
আমি সংসদ সদস্য হিসেবে যতদিন থাকবো, ন্যায়ের পথে আমি আছি, থাকবো। যেদিন থাকবো না সেদিন বলবো না। এখানে ১৬৫ জন শিক্ষক রয়েছে। অংক-ইংলিশসহ গুরুত্বপূর্ণ টিচার নাই। গর্ভনিং বডির বর্তমান সভাপতিকে আমি চিনি না। সে এলাকায় বসবাসও করে না। তবে শুনেছি তিনি নাকি ওয়ারী থাকেন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দফতর সম্পাদক বলে শুনেছি। তার সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নেই।
এসয়ম এমপির সঙ্গে আগত বহিরাগতরা এমপির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। এ পর্যায়ে স্কুল উপস্থিত শিক্ষা-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। শিক্ষার্থীরা দৌড়ে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে।
এরপর ঢাকা-৫ আসনের এমপি আরও বলেন,
এখনে বর্তমানে যিনি গর্ভনিং বডির দায়িত্বে রয়েছেন। গর্ভনিং বোডির সভাপতির বিষয়ে আমার মোবাইলে রয়েছে, উনি কোথা থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন। কোথা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ভয় দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে। কত টাকা ক্যাশ নিয়েছে, তারা ডাটা আমার কাছে আছে। সময় হলে এগুলো আপনাদের দিব। জিনিসটা মনে হচ্ছে শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও গর্ভনিং বডির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, যে ভদ্রলোক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ভয় দেখিয়ে ৬ লাখ টাকা নেয়। তাহলে স্কুলের অবস্থা কি হবে? এটা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার আর্জি, এলাকার লোকজন খেপে আছেন।
এটা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে আর্থিক সুবিধা নেয়ার কি আছে। সময় হলে মোবাইলে রেকর্ড যা আছে দেখাবো। শিক্ষার্থীরাও ভয়ে স্কুলে আসনি, কান্না-কাটি করেছে। এগুলোর মোবাইলে রেকর্ড রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর পরিদর্শন অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপিকে দাওয়াত না দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন,
আজকের প্রোগ্রামের কথা কেউ তো আমায় বলেন নি। আমায় প্রয়োজন মনে করেন নি। যিনি গর্ভনিং বডির সদস্য হয়েছে, তিনি এ এলাকার কেউ নয়। থাকেন ওয়ারিতে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমি স্থানীয় এমপি মহোদয়কে দাওয়াত দিয়েছি। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। তিনি কেনো এধরণের বক্তব্য দিয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়।