সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ফারুক আলম তালুকদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ। কালের খবর খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক। কালের খবর মাটিরাঙ্গা জোন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান। কালের খবর ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত হলো সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব। কালের খবর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মাটিরাঙ্গায় বিএনপির বিক্ষাভ সমাবেশ। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর গোমতি বীরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আফজাল ভূঁইয়া। কালের খবর কুষ্টিয়ায় এক্সকেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। কালের খবর নবীনগরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ। কালের খবর সীমান্তের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহবান। কালের খবর
১২ ফুটের শিকলে এক যুগ ধরে বন্দি সহিদুল। কালের খবর

১২ ফুটের শিকলে এক যুগ ধরে বন্দি সহিদুল। কালের খবর

আহমেদ সাজু (টাঙ্গাইল) সখীপুর, কালের খবর : লোহার চাকতি লাগানো শিকল দুই পাঁয়ে পরানো হয়েছে। শিকলে লাগানো হয়েছে ২টি বড় তালা। দিনে বাড়িতে গাছের সাথে আর রাতে ঘরে চৌকির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। ১২ ফুটের শিকলে এক যুগের বেশি বাঁধা মানসিক প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলামের (৩৫) জীবন। শহিদুল টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের মহানন্দনপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে শিকলবন্দি অবস্থায় বেধেঁ রাখা হয় শহিদুলকে। মাঝে মাঝে নজরদারি রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়া হলে স্থানীয় বাজারে সে ঘোরাঘুরি করে। কেউ কাছে গেলে কোন কথাই বলে না।

শহিদুলের বৃদ্ধ মা কাজুলি বেগম জানান, তিন ছেলের মধ্যে শহিদুল সবার ছোট। মেজ ছেলে কয়েক বছর আগে মারা যায়। জন্মের কিছুদিন পর হঠাৎ প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে পড়ে শহিদুল। স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক ও কবিরাজ দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি। ক্রমেই মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। সুযোগ পেলেই এদিক-সেদিক চলে যায়। এজন্য বাধ্য হয়ে পায়ে শিকল পরিয়ে আটকে রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, শহিদুলের বাবা ৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অভাবের সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উর্পাজনের উৎস। মারা যাওয়ার পর মানুষের সহযোগিতায় কোন মতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। শহিদুলকে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। মায়ের হাতে ছাড়া খাবার খায় না সে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, তাকে একটি ভাতা কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিমাসে ৭৫০ টাকা পান শহিদুল। সেই টাকা দিয়েই কোন মতে তার খাবারের ব্যবস্থা করে তার মা।

প্রতিবেশী এবং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, শহিদুল ও তার মা একসঙ্গে থাকে। তারা অসহায়। যা ভাতা দেয়া হয়, তাতে চলে না। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসাও হয়নি। চিকিৎসা করাতে পারলে সে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, শহিদুলের শিকলবন্দি জীবনের কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com