মাসের ব্যবধানে
বেকারি খাদ্যসামগ্রী তৈরির প্রধান উপাদান ময়দা, চিনি, ভোজ্যতেল ও বনস্পতির দাম বাড়ায় মহাবিপাকে পড়েছেন
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বেকারি ব্যবসায়ীরা।
করোনার কারনে মন্দা বেকারি ব্যবসায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব পণ্যের চড়া দাম। দাসপাড়া ইউনিয়নের সবুজ বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারীর মালিক সবুজ হাওলাদার বলেন, মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে ১৪০০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজি ওজনের ময়দার দাম বেড়ে হয়েছে ১৯০০ টাকা। ২৭০০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজি চিনির দাম এখন ৩৮০০ টাকা, ৭০ টাকার প্রতিকেজি সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৩০ টাকা আর ১২০০ টাকা মূল্যের ১৬ কেজি প্যাকেটের বনস্পতির দাম হয়েছে ৩০০০ টাকা।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বেকারি ব্যবসা এখন বন্ধের পথে। তার ওপর এসব পণ্যের দাম বাড়ায় বেকারি ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। বাউফল উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত বেকারি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার সঙ্গে ৫ শতাধিক শ্রমিক জড়িত। করোনার ধাক্কা আর কাঁচামালের দাম বাড়ায় ইতিমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নওমালা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকার হাওলাদার বেকারির মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চিনি, ময়দা ও তেলের দাম বাড়ায় কর্মচারীদের বেতন দিয়ে এখন মাস শেষে লোকসান গুণতে হচ্ছে। পৌরশহরের ফাহিম বেকারির মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার কারখানায় বেকারি খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন আগের তুলনায় এখন অর্ধেক কম হচ্ছে।
তিনি বলেন, চিনি, ময়দা ও তেলের দাম না কমালে আগামী দিনে বেকারি কারাখানা বন্ধ করে দিতে হবে।