বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার আত্মহত্যা। কালের খবর
স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরে পেতে যাচ্ছে ডাহুক নদী

স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরে পেতে যাচ্ছে ডাহুক নদী

কালের খবর : প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে ডাহুক নদী। নিজেদের উদ্যোগে ডাহুক নদী খনন করে স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা।

প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং সামাজিক চাপে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে তারা অবৈধভাবে নদীর গতি প্রবাহকে বন্ধ করে পাথর উত্তোলন করছিলেন।

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বালাবাড়ি এলাকায় ডাহুক নদীর গতি প্রবাহকে রুদ্ধ করে নদী খনন করে পাথর উত্তোলন করছিলেন প্রভাবশালী কিছু ব্যবসায়ী। প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীরা অধিকাংশই বর্তমান সরকার দলীয় মতবাদের এবং তৃণমূল বিএনপির সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রশাসনের নানা উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বেপোরোয়াভাবে পাথর উত্তোলন করছিল তারা। এতে এই এলাকার অন্যতম প্রধান নদী ডাহুক নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পাথরের খাদের বালি এবং মাটি দিয়ে নদীটি আধা কিলোমিটার ভরাট হয়ে বালির ঢিবিতে পরিণত হয়।

এই নদী ও নদীর আশে পাশে প্রায় ৩০ জন পাথর ব্যবসায়ী ও ৫ থেকে ৭ হাজার শ্রমিক পাথর উত্তোলনের কাজে জড়িত। নদী হত্যার অপরাধে গত ৩১ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় গণমাধ্যম কর্মী সহ স্থানীয় গণ্যমান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনি আট ব্যবসায়ীকে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এর পর ব্যবসায়ীদের নাম পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচাররিত হলে তোলপাড় উঠে পঞ্চগড়ে। একসময় ব্যবসায়ীরা নদীটি খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়।

নদীটির আশে পাশের পাথরের খাদের বালি এবং মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যাবার আশংকা শেষ হয়নি এখনো। অনেকে এখনো নদীটিতে বালি ফেলছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস জানান, এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। নদীর মৃত্যু আমরা দেখতে চাই না। নদী তার আপন গতিতে চলতে থাকুক।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com