বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, কালের খবর : রাজধানীর
ডেমরা থানাধীন ডগাইর (মুরগীরফার্ম) মধুবাগ এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সানী (৪০)। এ সময় তার কাছে থাকা সর্বস্ব লুটে নেয় তারা। একইসাথে প্রাননাশের চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা সানীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে ডগাইর মধুবাগ জামে মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা -৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু সমর্থক হিসেবে পরিচিত যাত্রাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হামিদুর রহমান তাকিস। তিনি বেশ কিছু দিন যাবত মাতুয়াইল, কোনাপাড়া, রায়ের বাগসহ ঢাকা -৫ নির্বাচনী এলাকায় জমিজমা কিংবা বিচার- আচারের নামে জবর-দখল চালিয়ে আসছেন। তার ভয়ে কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পান না। এসবই তিনি স্থানীয় এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু নাম ভাঙ্গিয়ে করছেন। এছাড়া ও এলাকায় দল বল নিয়ে শোডাউন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন তাকিস। রীতিমতো অটোরিকশা থেকে শুরু করে কলকারখানা সর্বত্র থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা আদায় করেন তিনি ও তার সমর্থকরা। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ ডেমরা ও যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করেছেন ভোক্তভুগিরা। সর্বশেষ বুধবার ব্যবসায়ি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাকিস বাহিনী।
এ বিষয়ে ডেমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদশিরা জানায়, যাত্রাবাড়ি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হামিদুর রহমান তাকিস (৩৩), তুষার ও ইউসুফ মধুবাগ জামে মসজিদের পাশে তাকিস ও তার সমর্থকরা নাম ধরে ডাক দেয় সানীকে। সানী তখন জিজ্ঞেস করে আমি তোমার ছোট না বড়। এরপর তাকিস সানীর কাছে চাঁদা দাবি করে এবং বলে এলাকায় ব্যবসা করিস আমাদের চাঁদা দে। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সানীকে লাঠি-সোঠা দিয়ে আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোশাররফ হোসেন সানী। পরে তাকিস ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে হামিদুর রহমান তাকিস এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন সানী বলেন, হামিদুর রহমান তাকিস বেশ কয়েকদিন যাবত আমার কাছে চাদা দাবি করে আসছে। আমি চাদা দিতে অস্বিকার করায় হত্যার হুমকী ও দিয়েছিল। তিনি বলেন,
বুধবার দুপুরে মাতুয়াইল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে হঠাৎ আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং সঙ্গে থাকা ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল (অপপো) ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করে ও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।