বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের মহোৎসব। কালের খবর ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কালের খবর শাহজাদপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল সি লাইন বাসের ছাদ, ১জন নিহত। কালের খবর
কপোতাক্ষ নদীর উপর ব্রিজ শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রার ১২ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি।

কপোতাক্ষ নদীর উপর ব্রিজ শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রার ১২ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি।

কালের খবর :দেশ যখন উন্নয়নের মডেল ও দেশ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এই উন্নয়নে ধারাবাহিকতা থেকে বঞ্চিত হতে চায়না বাংলাদেশের আইলা সিডর ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা- শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রা। এই ৩ উপজেলায় প্রায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাদের মধ্য ফুসে উঠছে তাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। শ্যামনগর নওয়াবেঁকী খেয়াঘাটের খোলপেটুয়া নদীর উপর ব্রিজ ও আশাশুনি চাকলা খেয়াঘাটের কপোতাক্ষ নদীর উপর ব্রিজ। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই দুটি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে সাতক্ষীরা-খুলনার মানুষের জীবনযাত্রা। শুধু তাই নয়, পাল্টে যাবে এই দুই জেলার মানুষের শিক্ষা, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য হ সার্বিক উন্নয়ন। এ দাবি নতুন কিছু নয় আজ দীর্ঘকাল যাবত দুটি জেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি।

জানা গেছে, প্রতিদিন এই দুটি খেয়াঘাট দিয়ে কোমলমতি শিশুরা লেখাপড়ার জন্য নৌকা বা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পারাপার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। তাছাড়া হাজার হাজার মানুষ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই নদী দুটি পারাপার হয়। প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শান্ত থাকে তখন অনেকটা বেশ নিরাপদেই পারপার হতে পারে। আর বছরের বাকি মাসগুলোতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে নদীর উত্তাল ঢেওয়ে জীবনের নানা ঝুঁকি নিয়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের মানুষের পারাপার হতে হয়। দক্ষিণাঞ্চলের নওয়াবেঁকী খোলপেটুয়া ও আশাশুনির চাকলা কয়রা ব্রিজ দুটি নির্মিত হলে শ্যামনগর উপজেলা সদর বা মুন্সিগঞ্জ থেকে খুলনা জেলার কয়রা পাইকগাছা হয়ে খুলনা বাস সার্ভিস চলাচল করবে অতি সহজে। স্বল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীরা এই সমস্ত গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যাবে। তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ হয়ে আশাশুনি বর্ডাল ও সাতক্ষীরার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো দ্রুত হবে। বর্তমান এই জনবহুল খেয়াঘাট দুটি একটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ আর একটি খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করছে।

শ্যামনগর নওয়াবেঁকী খেয়াঘাটে যেয়ে কথা হয় পদ্মপুকুর থেকে আসা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফতেমা, লতা, আকলিমা ও নওয়াবেঁকী কলেজে আসা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী লক্ষী ফাহিমাসহ অনেকের সাথে।

প্রতিবেদককে জানান, খুব কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন আমাদের এই নদী পার হয়ে স্কুল কলেজে আসতে হয়। বেশি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে আর আসা হয় না। আর আসলেও বাস্তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। খোল পেটুয়া ও চাকলা কপোতাক্ষ দুই নদী পারাপার হয়ে আসে ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধা জবেদ আলী সানা। তিনি আসছেন কয়রা মথুরেশপুর থেকে।

আলী সানা বলেন, ‘খুব কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয় ঝড়-বাতাসে নদী উত্তাল থাকে তারপরে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নদী পার হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের সারাজীবনের দাবি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই দুটি নদীর উপরে ব্রিজ। তবে এই দাবি ওই বৃদ্ধা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি নওয়াবেকী খোল পেটুয়া নদীর ব্রিজ ও আশাশুনি চাকলা কয়রা কপোতক্ষ নদীর উপর ব্রিজ। সরকার যেখানে নিজ অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করছে সেখানে দক্ষিণাঞ্চলে এই দুটি ছোট নদীর ব্রিজ নির্মাণ করা সরকারের জন্য খুব ছোট ব্যাপার।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম জগলুল হায়দার বলেন, ‘ বিষয়টির আলোচনা সংসদে চলমান আছে। এ দাবি অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।’

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com