রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
কালের খবর : প্রস্তাবিত ৩২ ধারা ৫৭ ধারার চেয়েও সাংবাদিকদের জন্য ভয়াবহ ও অনিরাপদ। অবিলম্বে সরকারকে এই কালো আইনটি বাতিলের দাবী জানিয়েছে বিএমএসএফ। আইনটি অবিলম্বে বাতিল করা না হলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারি দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিক নিপিড়নকারী এ আইনটি বাতিল কিংবা সংশোধন করা না হলে আগামী রোববার ১১ ফেব্রুয়ারী দেশব্যাপী সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়।
রোববার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) জেলা শাখার আয়োজনে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’র সম্পাদক নঈম নিজাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও শ্যামল দত্তকে মামলায় হয়রাণী, বিএমএসএফ লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের ওপর সন্ত্রাসী হামলাসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় হয়রাণী ও প্রস্তাবিত ৩২ ধারা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার চেয়ে ভয়াবহ। ১৯টি ধারার মধ্যে মাত্র ৪টি জামিনযোগ্য। বাকিগুলো জামিন অযোগ্য। সাংবাদিকদের জন্য এ ধারাটি অনিরাপদ। আইনটি প্রস্তবনায় সাংবাদিক নেতাদের সাথে কোনরুপ আলোচনা কিংবা মতামতকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ৫৭ ধারায় মামলা করতে মন্ত্রনালয়ের অনুমতি লাগতো। নতুন এ আইনটি দ্বারা পুলিশ মামলা ছাড়াই যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। যা দেশের গণতন্ত্র উন্নয়নের অন্তরায় বলেও দাবী করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে সরকারের জাতীয় প্রেস কাউন্সিলে দায়ের করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএমএসএফ শরীয়তপুর জেলা কমিটির আহবায়ক আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব ছগির হোসেন, আরটিভি প্রতিনিধি আবুল হোসেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সভাপতি শফিকুল ইসলাম স্বপন সরকার প্রমুখ। সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেন সময় টিভি প্রতিনিধি মফিজুর রহমান রিপন, ডিবিসি প্রতিনিধি বিএম ইস্রাফিল, মাছরাঙা টিভির কবিরুজ্জামান, এশিয়ান টিভির এমডি কাজী নাসিরসহ বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিশিষ্ট সাংবাদিক নঈম নিজাম, আনিস আলমগীর, শ্যামল দত্ত’র বিরুদ্ধে আনীত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী করা হয়। এছাড়া সরকার চলতি সপ্তাহের মধ্যে ৩২ ধারা বাতিল এবং ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামি ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠানোর প্রস্তুতি গ্রহনের আহবান জানানো হয়েছে।