রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
সাঈদুর রহমান,ঝনিাইদহ জলো প্রতনিধি, কালের খবর :
ঝিনাইদহে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। জেলার তিন সংসদ সদস্য নিজ নিজ এলাকায় করোনার ভ্যাকসিন গ্রহনের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। রোববার সকালে সদর হাসপাতালের সম্প্রসারিত নতুন ভবনে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার প্রথম করোনার টিকা গ্রহনের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। একই সময় ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল প্রথম টিকা নিয়ে মহেশপুর উপজেলার ভ্যাকসিন প্রদান উদ্বোধন করেন। শৈলকুপায় উপজেলা প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহন করেন ডাক্তার শাহনাজ ইবনে কাশেম। এরপরই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়।
তবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহনের পর এখন পর্যন্ত সকলেই স্বুস্থ্য আছেন। টিকা নেওয়ার পর তাদের শরীরে কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগমসহ স্বাস্থবিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলায় প্রথম টিকা গ্রহন করার পর সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী জানান, খুবই ভালো লাগছে। আমি কোন সমস্যা অনুভব করছিনা। অন্যান্য যে টিকা নিয়েছি তাতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও এই টিকাই কোন সমস্যাই দেখা যায়নি।
করোনার টিকা নেওয়ার পর ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। টিকা নেওয়ার পর কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে বিভ্রান্তি ছিল তা কেটে গেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
টিকা নেওয়ার পর ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান, এই টিকাকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক গুজব রটানোর চেষ্টা করেছেন। গুজবে কান না দিয়ে টিকা গ্রহন করার আহবান জানান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: জাকির হোসেন জানান, এ টিকাটি আমি নিজে নিয়েছি এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পায়নি। এটি সম্পুর্নই নিরাপদ মনে করছি। জেলার ৬ উপজেলায় ২৬ কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে বলে যোগ করেন তিনি।