শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে লাভবান কৃষক, খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। কালের খবর তীব্র গরমে পথচারীদের সুপেয় পানি সরবরাহ করছে ফায়ার সার্ভিস। কালের খবর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। কালের খবর সমাজে “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে — সাতক্ষীরায় তাপদাহে রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতারণ। কালের খবর প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা। কালের খবর ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে। কালের খবর মারামারি দিয়ে শুরু হলো ‘খলনায়ক’দের কমিটির যাত্রা। কালের খবর কুতুবদিয়ার সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর সাতক্ষীরায় লোনা পানিতে ‘সোনা’ নষ্ট হচ্ছে মাটির ভৌত গঠন। কালের খবর
বোয়ালমারীতে অসহায় বৃদ্ধাকে বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ। কালের খবর

বোয়ালমারীতে অসহায় বৃদ্ধাকে বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ। কালের খবর

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে এম.এম.জামান, কালের খবর :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামে এক অসহায় বৃদ্ধাকে তার বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি অসাধু চক্র। এলক্ষে জালদলিল সহ ভূয়া কাগজপত্রের আশ্রয় নিয়ে ঐ মহলটি বৃদ্ধা তছিরন বেগমকে নানাভাবে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। জানাযায়,মোবারকদিয়া মৌজার( ৭৬৪) নং খতিয়ানের ২২০ নং দাগের ৪৪ শতাংশ জমির এস,এ রেকর্ডের মালিক প্রয়াত রাধারমণ বড়াল। তার একমাত্র পুত্র দীপক কুমার বড়াল.১৯৭৮ সালে জমিটি বিক্রি করেন স্থানীয় সুকুমার দত্ত ও হরিদাস দত্তের নিকট। ১৯৮৬ সালে এই দুই ভাইয়ের কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করেন বৃদ্ধা তছিরন বেগম। সে সময়ে জায়গাটিতে একটি চারচালা টিনের কাঁচা ঘর তুলে স্বামী দিলাল শেখ ও ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস শুরু করেন তছিরন বেগম। রোপন করেন নানা জাতের গাছ-পালা। পরবর্তিতে স্বামী মারা যান। কন্যাদের বিবাহ হয়ে যায়। ফলে বিশাল বাড়িটিতে দীর্ঘদিন একাকীই বসবাস করে আসছেন বয়োবৃদ্ধা তছিরন বেগম।
আর এ সুযোগেই মূল্যবান,লোভনীয় জায়গাটির উপর বদ নজর পড়ে প্রতিবেশী সুধীর কুমার বড়াল গং এর। নানান কলা-কৌশলে জমিটি হাতিয়ে নিতে উঠে-পড়ে লাগেন তিনি। প্রথমে রাধারমণের ওয়ারিশ দাবী করে তছিরন কে জমি ছাড়তে বলেন। আদালতে এই দাবী প্রতিষ্ঠায় ব্যার্থ হলে সুধীর জমিটি বিক্রীর প্রস্তাব দেন তছিরন বেগমকে। এতেও কোন সাড়া না পেয়ে ষড়যন্ত্র আটেন সুধীর বড়াল। তছিরন বেগম অভিযোগ করেন,৮৬ সালে তিনি জমির দলিল সম্পাদন করলেও এর এক বছর আগের ব্যাকডেটে একটি জাল দলিল তৈরী করেছেন সুধীর বলে তছিরন জানান. জমিটি বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত হলেও মধুখালী উপজেলায় গিয়ে তিনি এ কার্য সম্পাদন করেন। দলিলে জমির দাতা হিসাবে সুকুমার দত্ত ও হরিদাসের নাম উল্লেখ করলেও তাদের জাল সাক্ষর ব্যাবহার করা হয়েছে। অপরদিকে এই দুই ভাইয়ের কাছে যিনি জমি বিক্রি করেন সেই দিপক বড়ালকেই এক সময় রাধারমণের উত্তোরাধিকারী হিসাবে অস্বীকার করেন এই সুধীর। এই জালজালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন অসহায় বয়োবৃদ্ধা তছিরন বেগম। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন,আমার স্বামী নেই কোন পুত্র সন্তানও নেই। ফলে এই বুড়ো বয়সে আমাকে আদালতের ও মানুষের দ্বারে দ্বারে. দৌড়-ঝাপ করতে হচ্ছে। আমি যে আর পারছিনা বাবা! এব্যাপারে সংশ্লীষ্ট সকল মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন অসহায় তছিরন বেগম। এলাকার মোঃ জালাল মোল্যা,বাবন মোল্যা,মজিবর রহমান সহ একাধীক প্রবিণ ব্যাক্তি বলেন,সুকুমার দত্ত সুধীর বড়ালের কাছে জমি বিক্রি করেছে তা আমরা কোনদিন শুনিনি। পক্ষান্তরে তছিরন বেগম জমি কেনার পরইতো সেটি ভোগদখল করে আসছেন। তাদের প্রশ্ন-সুধীর বড়াল যদি তছিরনের আগে জমি কিনে থাকেন তাহলে পরে ক্রয় করে
তছিরন কিভাবে সেখানে বসতি স্থাপন করলেন ?

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com