ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীদের আগামীতে মনোনয়ন দেওয়া হবে। টাকা-পয়সার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মৌলবাদের আস্ফালন ও রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও কক্সবাজারের এই চিত্র ছিল না। এখানে যেসব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা অকল্পনীয়।
কক্সবাজারকেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ভাবেননি এখানে আন্তর্জাতিকমানের একটি বিমানবন্দর হবে। স্বপ্নকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেন আসবে। সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এমন পরিবর্তন কেউ ভাবেনি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজে কক্সবাজারবাসী ভিটেমাটি দিয়ে ফেলেছে। অনেকে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে। সরকারের উন্নয়ন কাজে কক্সবাজারবাসী একমত।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, মাহবুবুল হক মুকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আয়েশা সিরাজ, তাহমিনা হক চৌধুরী লোনা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।