শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশসহ এশিয়ার নদ-নদীগুলোর পানি ক্রমাগত বর্ণ হারাচ্ছে। এর ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলোসহ এশিয়ার অনেক দেশ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অনলাইন সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সংরক্ষণ ও পরিবেশবিষয়ক আইন আধুনিক করা, দূষণকারীদের জরিমানা করা এবং পানির গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করা। এছাড়া কেন্দ্রীয় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন এবং বর্জ্য শোধন প্রক্রিয়া উন্নত করতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে সরকার।
এছাড়া নদী রক্ষা কমিশন ইতোমধ্যে দেশের ৪৯ হাজার ১৬২ জন নদী ও খাল দখলদারের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, যাদের এক বছরের মধ্যে উচ্ছেদ করার কথা বলা হয়েছে। নদী রক্ষা কমিশন যদি এ কাজে সফল হয়, তাহলে দেশের নদ-নদীগুলো দখল-দূষণমুক্ত হয়ে নবজীবন লাভ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
দখল-দূষণমুক্ত নদ-নদীর ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হচ্ছে পুনঃদখল ও দূষণ। এটি রোধে সরকার অবশ্য নদীতীরে বনায়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমরা মনে করি, দখল-দূষণরোধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা উচিত।
নদী দখল ও দূষণের সঙ্গে যুক্তরা যত বড় প্রভাবশালীই হোক; শাস্তি নিশ্চিত করা হলে দখল-দূষণ রোধসহ পরিবেশ রক্ষায় তা ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। বাংলাদেশকে বলা হয় নদীমাতৃক দেশ। একসময় জালের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নদ-নদী ও খাল-বিল আমাদের জীবন-জীবিকা, সভ্যতা-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করলেও আজ সেগুলো জীর্ণ-শীর্ণ।
অনেক নদী ও খাল-বিল ইতোমধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়েও গেছে। এজন্য দায়ী আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ড ও অদূরদর্শিতা। দেশের নদ-নদীগুলোকে দখল, দূষণ ও ভরাট হওয়া থেকে রক্ষায় অবশ্যই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।