বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
চরফ্যাসন ভোলা প্রতিনিধি ঃ
ভোলা চরফ্যাসন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানা চরকচ্ছপিয়া গণস্ব্যাস্য কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে চার্চ অব বাংলাদেশের কলোনীর সভাপতি মোঃ ছায়েদ ফরাজি অভিযোগ করে বলেন, চার্চ অব বাংলাদেশের ছিন্নমূল পরিবারকে দেওয়া সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে, আর সম্পত্তি দখল করেছেন চর মানিকা কোষ্ট ট্রাষ্ট, তাঁরা এ জমিটি দখল করে বিভিন্ন শাক সবজির চাষ করে আসছেন এবং চার্চ অব বাংলাদেশ কলোনীতে থাকা ছিন্নমূল পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য একটি বিদ্যালয় দেন সেটাও দখল করে তাদের অফিস চালান কোষ্ট ট্রাষ্ট পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত এই কলোনীর কোমল মতি শিশুরা দখল করা জমির পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ তিনি জানান ।
এ ব্যাপারে ৫৪ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
মোঃ ফজলে করিম(৬০),মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৮),রুহুল আমিন(৪০) জানান,১৯৮৬ সালে শ্রীনিকুঞ্জ বিহারী দাস(৩.৩৮ শতাংশ), রত্তন আলী হাওলাদার , আসমত আলী হাওলাদার থেকে(৬২ শতাংশ) মোট ৪ একর জমি ক্রয় করেন চার্চ অব বাংলাদেশ নিজ নামে। এই কলোনীতে ছিন্নমূল পরিবারের কথা চিন্তা করে ১৯৮৬ সালে চার্চ অব বাংলাদেশ চর কচ্ছপিয়া কলোনীর দায়ীত্ব মোঃ ছায়েদ ফরাজিকে বি.ডি.মন্ডল দেন ।
১৯৯৩ সালে কলোনীর ৫৪ ছিন্নমূল পরিবার একাত্রিত হয়ে একটি সমাজিক ভাবে নির্বাচন করেন। এই নির্বাচনে সভাপতির দায়িত্ব পান ছায়েদ ফরাজি, তাঁর লিখিত প্রমাণ সহ এবং চার্চ অব বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত অদ্যবধি কলোনীর সভাপতি, চার্চ অব বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী কলোনীর সভাপতি ছায়েদ ফরাজি কলোনী সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
উল্লেখিত কলোনীর ৫৪ টি পরিবারের সভাপতি মোঃ ছায়েদ ফরাজির পরিচালনায় ছিন্নমূল পরিবারের জীবন যাপন সুন্দর ভাবে পরিচালনা করে আসছে এতে চার্চ অব বাংলাদেশ তার পরিচালনায় খুশি হন। চার্চ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রাইট রেভাপল এস সরকার, ছায়েদ ফরাজির কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এ্যাকশন এইড (এনজিও) ১৫ বছরের জন্য চার্চ অব বাংলাদেশের কাছ থেকে বাৎসরিক ১ টাকা লিজে ছায়েদ ফরাজির পরিচালনায় কলোনীর দেখা শুনার দায়িত্ব নেন।২০১২ সালে তাদের লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এ সময়ে বেসরকারি (এনজিও)কোষ্টা ট্রাষ্ট এর সাথে সম্মিলিত হয়ে মোঃ সিরাজ দালাল পিতাঃ মোঃ অহিদ বেপারি, ছিন্নমূল পরিবারের উপর জুলুম অত্যাচার করেন। তার পিতাঃ মোঃ অহিদ বেপারি, কলোনীর নীতিমালা ভঙ্গ করে স্বামী স্ত্রী মিলে অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ করেন হিন্দু ধর্মীয় লোকদের বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন।ছিন্নমূল মানুষের ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে চার্চ অব বাংলাদেশ ১০/০৭/১৯৯৫ ইং তারিখে লিখিত পত্রের মধ্যেমে কলোনীর ১ নং প্লট থেকে মোঃ অহিদ বেপারি সহ তার পরিবারকে চলে যেতে নির্দেশ দেন। চার্চ অব বাংলাদেশের নীতিমালা ভঙ্গ করে সে জোরপূর্বক কলোনীতে বসবাস করেন।
সিরাজ দালাল বহিরাগত থাকা সত্ত্বেও কিছু দিন পরে ঔ কলোনীতে ৫৫ নং প্লট জবরদখল করে হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবের কাজে বাধা প্রধান করেন এবং অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ হুমকি ঝগড়া বিবাদ, এবং গাছ গাছালি মাছ ছিনিয়ে ভোগ দখল করে খায়।এতে কোষ্ট ট্রাষ্ট (এনজিও)সহ কলোনীর ছিন্নমূল মানুষ অতিষ্ট হয়।সিরাজ দালালের এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে ১৮/০৩/২০০৫ ইং এবং ০৯/০৫/২০০৬ ইং সনে পরপর দুইটি লিখিত পত্রের মধ্যেমে তাকে কলোনী ছেড়ে চলে যেতে বলে কোষ্ট ট্রাষ্টের প্রতিনিধি মোঃ শাহাবুদ্দিন।
এ বিষয় চার্চ অব বাংলাদেশ এর প্রধান কর্মকর্তা মিঃ টমাস শংকর বিশ্বাস এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান চরকচ্ছপিয়া কলোনীর সম্পত্তি আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি এটা কারো না তিনি আরও জানান ভোলা দক্ষিণ আইচা থানায় এ বিষয় চার্চ অব বাংলাদেশের চর কচ্ছপিয়া কলোনীর সভাপতি ছায়েদ ফরাজির মাধ্যমে আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি ।