রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
কালের খবর :একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সেই দেশের মিডিয়ার ভূমিকা অপরির্হায। রাষ্টের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও অপরাধ মূলক কর্মকান্ড এর সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে রাষ্টকে উন্নয়নের পথে চলমান করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীর্কায। রাত পোহালেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের চোখ থাকে খবরের পাতার দিকে খুজতে থাকে তাদের জন্য নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিকরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কি সংবাদ উপহার দিয়েছে। কারা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে কারা দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। মিডিয়ার কল্যানে সবাই ঘরে বসেই পাচ্ছে সঠিক সংবাদ। চাপা থাকেনা কোন অন্যায় বেরিয়ে আসে সত্য খবর,ন্যায্য অধিকার ও বিভিন্ন তথ্য সর্ম্পকে মানুষ জানতে পারে সচেতন হতে পারে। সংবাদপত্র বা খবরের কাগজ হচ্ছে একটি লিখিত প্রকাশনা যার মধ্যে থাকে বর্তমান ঘটনা,তথ্যপূর্ন নিবন্ধ,সম্পাদকীয়,বিভিন্ন ফিচার এবং বিজ্ঞাপন। পৃথিবীর আধুনিক বিপ্লব ও সংগ্রামের ইতিহাসে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনেক। ১৭৮০ সালে জেমস আগস্টাস হিকি ইংরেজদের জন্য বেঙ্গল গেজেট বা ক্যালকাটা জেনারেল নামে ২ পাতার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা থেকে শুরু করে যুগে যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য এর চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রতিটি দেশেই সংবাদ পত্র সম্পাদনার দ্বায়িত্ব পালন করতেন দেশ পন্ডিতরা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকেই এদেশে প্রচলন হয়েছেল সংবাদপত্রের। বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর থেকেই শুরু হয় এই সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা, ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর দৈৗরত্ব, নীলনকশা করা হয় মিডিয়া কর্মীদের কন্ঠরোধ করার। বর্তমানে তা আরো প্রকট রুপ ধারন করেছে যার প্রমান হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের তৈরী ৩২ ধারা। এই ধারার উল্লেখ রয়েছে সরকারী,আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ করে গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ধারন গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গন্য হবে। এই আইন অনুযায়ী সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠান দেশে ও জাতিকে ধব্বংসের দিকে ধাবিত করলেও তা দেশবাসীকে জানাতে পারবেনা সংবাদকর্মীরা। সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে দেদারছে চলবে দূর্নীতি,জিম্মি করা হবে দেশের জনগনকে, ধীরে ধীরে ধব্বংস করা হবে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে। আর এদেশের মানুষকে এসব কিছু আর কখনই জানাতে পারবেনা সাংবাদিকরা। জানানোর চেষ্টা করলেই সংবাদকর্মীদের যেতে হবে ১৪ বছরের জন্য জেলে আর সাথে দিতে হবে মোটা অংকের টাকা জরিমানা। বিটিশ গণমাধ্যম তত্ববিদ গুগো দি বুগ বলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হল ঐ যার কাজ হচ্ছে সত্য খুজে বের করা এবং এর বিচ্যুতি খুজে বের করে তা যেই মাধ্যমে সম্ভব হয় তাতে প্রকাশ করা। কিস্তু আমাদের দেশে মিডিয়াকর্মীদের দূর্ভাগ্য হলে সত্য দিনের পর দিন অপচেষ্টা চলছে সাংবাদিকদের স্বাধীনতাকে র্খব করার। আমাদের দেশে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তাদের প্রধান র্টাগেট হয়ে দাড়ায় মিডিয়ার কন্ঠরোধ করা যাতে করে দেশবাসী কোনভাবেই তাদের অপকর্মের কথা জানতে না পারে। সেই সাথে যোগ দেয় ক্ষমতাসীন সরকারের দূনীতিগ্রস্থ অনুসারীরা লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে সংবাদকর্মীদের হত্যা করার জন্য কোনরুপ সুবিধা করতে না পারলেই চলে মিথ্যা মামলা আর মামলা হলেই সরকার মরিয়া হয়ে যায় মিডিয়ার কন্ঠরোধ করার নিমিত্তে নতুন নতুন আইন তৈরী করার জন্য। আর সংবাদকর্মীরা অসহায় এর মতো বারবার মাথা পেতে নিচ্ছে সব অন্যায় নিয়মনীতি। ২১-০১-১৮ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার অনুসন্ধানী দক্ষ রির্পোটার সাইদুর রহমান রিমন ও গোলাম রাব্বানী লালমনির হাট ১ আসনের এমপি মোতাহার এর বিভিন্ন অপকর্মের ইতিহাস তুলে ধরে আর এতেই শুরু হয় বিপত্তি। এমপির সহযোগিরা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সন্মানিত সম্পাদক নঈম নিজাম,সাইদুর রহমান রিমন ও গোলাম রাব্বানী এর নামে জুড়ে দেয় মিথ্যা মামলা। শুরু হয় দেশজুড়ে মিডিয়া কর্মীদের তোলপাড়,মানববন্ধন, মিথ্যার সাথে সত্যের যুদ্ধ। আর এরপরই আসে সাংবাদিকদের ক›ঠরোধের নতুন আইন ৩২ ধারা। গত বছর বিশ্বে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয় ৮৬ জন সাংবাদিক। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকরা শারীরিক নির্যাতন, হত্যা ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হচ্ছে এগুলো নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যাথা নেই বললেই চলে। অথচ একজন আপরাধীর মুখোশ খুললেই তার দূনীতির কথা প্রকাশ করলেই আসে নতুন আইন।