রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন
বানরের গলায় মুক্তার মালা, প্রবাদটি অযোগ্য ব্যক্তির হাতে দামী বস্তু তুলে দেয়াকে উপহাস করা হয়েছে। বানরের কাছে মুক্তার মালা দিলে সে দ্রতই তা ছিঁড়ে ফেলবে। কারন মুক্তার গুরুত্ব বানর বুঝে না। একই ভাবে অযোগ্য ব্যক্তির হাতে ভালো কিছু তুলে দিলে সে এর মূল্য না বুঝে নষ্ট করে ফেলবে। কিন্তু এবার দেখে মিলেছে শুধু নষ্ট নয়, রীতিমতো ভয়ংকর খুনি হয়ে উঠেছে উৎসবের বাসচালক। দীর্ঘদিন মুড়ির টিনের মত বাস চালিয়ে অভ্যস্ত ড্রাইভাররা হাইওয়ে রুটের বাস পেয়ে মরণ নেশাইয় বুঁদ হয়েছেন। তেমনই এক চালকের কীর্তি উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় একটি ফেইসবুক গ্রুপে একজন মোটরবাইক চালক তার লিখনিতে তুলে ধরেছেন উৎসব বাসের চালক মুরাদের নির্মমতার চিত্র। শুধু নির্মম নয়, রীতিমতো খুনীর মত আচরণ করে দাপিয়ে বেড়ান সড়কে। তার মত চালক বাসের স্টিয়েরিং এ থাকলে পথচারী ও অন্যান্য পরিবরণ চালকের জন্য ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুট আতঙ্কজনক। আমির ফয়সাল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী তার স্ট্যাটাসে লিখেন, গতকাল আনুমানিক সন্ধা ৭:৩০ এ আমি বাইক নিয়ে আমার স্ত্রী সহ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জ আসছিলাম। ফ্লাইওভারের মাঝ পথে জয়েন্টের মধ্যে স্লিপ করে বাইক নিয়ে পরে যান এক মধ্যবয়সি ভদ্রলোক। আমি তার একটু পিছনেই ছিলাম। তার সামনে ছিলো উৎসব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৬৬১২)। লোকটি বাইক সহ স্লিপ করতে করতে উৎসব গাড়ির পিছনে হাল্কা ধাক্কা খায়। আমি সাথে সাথে ইমার্জেন্সি ব্রেক করে আরেক বাইকার ভাই সহ তাকে রাস্তা থেকে তুলি। তিনি ভয়ে কাপছিলেন। উৎসব গাড়ির দানব ড্রাইভার গাড়ি বন্ধ করে নেমে এসে যে সিনপাট (আক্রমনাত্বক ভঙ্গি) করছে আমি পুরাই টাস্কি (অবাক)। ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমেই পরে যাওয়া লোকটিকে বলে, ওই মিয়া আপনের হুন্ডা আমার গাড়ির পিছনে ধাক্কা লাগছে দাগ পড়ছে জরিমানা দিতে হইবো। এই কথা শুনে আমি ড্রাইভারকে বলি আপনি মানুষ না জানোয়ার? একটা মানুষ এক্সিডেন্ট করতে করতে আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছে। আপনি ফাপর নেন জরিমানা চান? দানব ড্রাইবার আমাকে বলে আপনে এত কথা কন কে? আপনি এই লোকের জিম্মাদারি লইবেন? তার এমন তর্ক শুনে আর অমানুষিক আচরণ দেখে অবাক হলাম। আমি ফ্লাইওভার থেকে নেমে যাত্রাবাড়ি উৎসব কাউন্টারে সুপাভাইজারকে বলি কেমন ড্রাইভার নিয়োগ দিয়েছে? মানুষ এক্সিডেন্ট করে মারা যেতে নিছে আর ইনি ধান্দাবাজি করতে চায়। তখন ঐ ড্রাইভার আবারও তর্ক শুরু করে আমার সাথে। যখন রাগে কয়েকটি কথা বলি তখন সে একটু ঠান্ডা হয়। ওর বাসে আগে থেকেই অসংখ্য স্পট । বাইকের ধাক্কায় সামান্য স্পট লাগায় সে ধান্দাবাজি করতে চায়। ও একটা অমানুষ ড্রাইভার। আমি ওর বাসের সাথেই ফত্ল্লুা স্টেডিয়াম পর্যন্ত আসছি। সে বার বার এমন ভঙ্গি করে যেন আমাকে মেরে ফেলবে বাস চাপা দিয়ে। শুধু তিনি একা নন, এর আগেও অসংখ্য মানুষ উৎসব বাসের ড্রাইভারদের বেপরোয়া আচরণের শিকার হয়েছে। ঢাকা নারায়ণগঞ্জে চলাচলরত ব্যবসায়ী ও শিক্ষিত চাকুরিজীবীদের সাথে বিশ্রি আচরণ করে যাচ্ছে এসকল ড্রাইভার ও বাসের কর্মচারীরা। বার বার এমন আচরণের অভিযোগ তোলার পরেও মালিক পক্ষ ব্যবস্থা না নেয়ায় এবার তরুনদের মাঝে উঠেছে বাসটি বয়কট করার ঘোষণা।