রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
কালের খবর : ২৭ জানুয়ারী ২০১৮ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এসএসসি পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছেন তার যৌক্তিকতা নিয়ে মহিউদ্দীন আহমেদ প্রশ্ন তুলে বলেন, নব্বই এর দশকের পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নজির না থাকলেও নকলের প্রবনতা ছিল। দূর্বল ও অসৎ ছাত্র/ছাত্রীরা পাশ করার জন্য বরাবরই নকলের আশ্রয় নিতো। এতে অনেক ছাত্র/ছাত্রী বহিষ্কার হতো আবার অনেক শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদদেই নকল চলতো। ৮৯সাল থেকে সরকার নকল বন্ধের বদ্ধ পরিকর হন। বিংশ সতাব্দী থেকে সরকার প্রযুক্তি বান্ধব দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০১২ সালে থ্রি জি প্রযুক্তি চালু করে। ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন সাধন করেন। প্রযুক্তি উৎকর্ষের সাথে সাথে শুরু হয় প্রশ্ন ফাঁস ও পরীক্ষা হলে ডিভাইসের ব্যবহার সহ প্রযুক্তির সকল অপব্যবহার। গত দুই তিন বৎসর যাবৎ পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা পূর্বেই প্রশ্ন উত্তর সহ ইন্টারনেট সম্বলিত হ্যান্ডসেটে পাওয়া যায়। আর এতে সবচাইতে বেশী অভিযোগের আঙ্গুল কোচিং সেন্টার সমূহের উপর। অভিভাবকদের উৎসাহও চোখে পড়ার মতো। দিনকে দিন অনৈতিক এবং অযথাচিত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী দেশে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে আলোচিত বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা। সরকার যখন ফোর জি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তি বন্ধ রাখা কি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে ? বর্তমানে সকল শ্রেণীতে তথ্য প্রযুক্তি বিষয় পড়ানো হয়। সেখানে কেন ছাত্র/ছাত্রীদের প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তুলছি না। সমাজে প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে এখনই যদি জনসচেতনা গড়ে তোলা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে জাতি আরো ভয়াবহ বিপদে পরবে। হয়তো বা ক’দিন পর আলেম ওলামারা ফতোয়া দিবেন ইন্টারনেট সংযোগসহ স্মার্ট হ্যান্ডসেট নিয়ে মসজিদ মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাহলে ৯২ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশে কি প্রযুক্তির বিকাশ সাধন হবে। তাই প্রযুক্তি বন্ধ না করে জনসচেতনতাই পারে ছাত্র/ছাত্রী ও সমাজকে সঠিক পথ দেখাতে।