সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সুন্দরগঞ্জে মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন। কালের খবর মাদারীপুরে ৩ দিনের বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন,খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছ। কালের খবর বিদ্যুৎ খাতের দুর্বৃত্তদের বিচার করতে হবে। কালের খবর মাদারীপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনে দুই পরিবারেরই আপত্তি। কালের খবর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শিকারমঙ্গল মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। কালের খবর “পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের যেকোনো অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে”-সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। কালের খবর সড়ক দূর্ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদল নেতা নিহত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে আওয়ামী ব্যবসায়ী নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মার্কেট ভাংচুরের অভিযোগ। কালের খবর নবীনগরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কালের খবর দুই হাজার নেতা কর্মী গণ সংবর্ধনা দিলো বিএনপি নেতা তজু মিয়াকে। কালের খবর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ। কালের খবর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বৃহস্পতিবার এ উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও লেখকসহ বেশ কয়েকজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল তুচ্ছ কিংবা অপ্রমাণসিদ্ধ। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, গুজব ছড়ানো ও সরকারের সমালোচনা করার মতো কারণ দেখিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে যে কোনো অভিযোগেই গ্রেপ্তার হতে হয় বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফটো সাংবাদিক কাজলকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব গ্রেপ্তার হয়েছে তার পেছনে ছিলো, আইনপ্রনেতা, জেলা কর্তৃপক্ষ ও ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের সাধারণ সমালোচনা। আইনপ্রনেতারা সাধারণত সবসময় মুক্ত গণমাধ্যম এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে থাকেন।

কিন্তু বাংলাদেশে একটি কার্যকর মানহানী আইন থাকা সত্বেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে। এ থেকে বুঝা যায়, এর আসল উদ্দেশ্য বিচার পাওয়া নয় বরঞ্চ অভিযুক্তকে হেনস্থা করা ও হুমকি প্রদান।
সম্পাদক পরিষদ জানিয়েছে, দুর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরে প্রশাসনের ব্যর্থতা চিহ্নিত করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। সরকার যখন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে মহামারি থামাতে তখন সাংবাদিকদের এ দায়িত্ব আরো বেশি গুরুত্বপূর্ন। সম্পাদক পরিষদ প্রথম থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করে আসছে। এটি গণমাধ্যমকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন আশঙ্কা সবসময়ই ছিলো। সেই আশঙ্কা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সম্পাদক পরিষদ। সংগঠনটি অবিলম্বে আটক সকল সাংবাদিকের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। প্রকাশিত বিবৃতিতে গণমাধ্যম ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছা ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই আইন রদেরও দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
মহামারি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়তে সমগ্র জাতিকে এক হয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এমন আঘাত ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার শুধুমাত্র এই ঐক্যের পথে বাধাই সৃষ্টি করবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com