বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ছবির ফাঁদে ডিজিটাল প্রতারণা! নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দার জালে আটক। কালের খবর পুরাতন ফিশারীঘাটে মাদকবিরোধী অভিযান:৩৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক ১। কালের খবর রায়পুরায় অসহায় নারীর শেষ আশ্রয় পুড়ে ছাই। কালের খবর প্রকৃত “ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাথা গুজার ঠাঁই “নিশ্চিত করার আহবান আব্দুর রহমান খোকনের। কালের খবর লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে ফেসবুকে ফাঁদ পেতে এক যুবককে অপহরণ, গ্রেফতার- ৪। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত। কালের খবর সাংবাদিক শহিদকে প্রাণনাশের হামলাকারী ফোরকান জেল হাজতে থেকেও বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি। কালের খবর বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন। কালের খবর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। কালের খবর শান্তি পরিবহনের চাপায় নারী নিহত। কালের খবর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ। কালের খবর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ। কালের খবর

কালের খবর ডেস্ক :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বৃহস্পতিবার এ উদ্বেগ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট ও লেখকসহ বেশ কয়েকজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল তুচ্ছ কিংবা অপ্রমাণসিদ্ধ। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, গুজব ছড়ানো ও সরকারের সমালোচনা করার মতো কারণ দেখিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে যে কোনো অভিযোগেই গ্রেপ্তার হতে হয় বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফটো সাংবাদিক কাজলকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব গ্রেপ্তার হয়েছে তার পেছনে ছিলো, আইনপ্রনেতা, জেলা কর্তৃপক্ষ ও ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের সাধারণ সমালোচনা। আইনপ্রনেতারা সাধারণত সবসময় মুক্ত গণমাধ্যম এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে থাকেন।

কিন্তু বাংলাদেশে একটি কার্যকর মানহানী আইন থাকা সত্বেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে। এ থেকে বুঝা যায়, এর আসল উদ্দেশ্য বিচার পাওয়া নয় বরঞ্চ অভিযুক্তকে হেনস্থা করা ও হুমকি প্রদান।
সম্পাদক পরিষদ জানিয়েছে, দুর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরে প্রশাসনের ব্যর্থতা চিহ্নিত করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। সরকার যখন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে মহামারি থামাতে তখন সাংবাদিকদের এ দায়িত্ব আরো বেশি গুরুত্বপূর্ন। সম্পাদক পরিষদ প্রথম থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করে আসছে। এটি গণমাধ্যমকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন আশঙ্কা সবসময়ই ছিলো। সেই আশঙ্কা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সম্পাদক পরিষদ। সংগঠনটি অবিলম্বে আটক সকল সাংবাদিকের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। প্রকাশিত বিবৃতিতে গণমাধ্যম ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছা ব্যবহারের নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই আইন রদেরও দাবি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
মহামারি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়তে সমগ্র জাতিকে এক হয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এমন আঘাত ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার শুধুমাত্র এই ঐক্যের পথে বাধাই সৃষ্টি করবে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com