সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ থেকে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান,কালের খবর : নতুন করে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানায় আরো তিনজন নোবেল করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে ঢাকা ও ভৈরব থেকে দোয়ারাবাজার থানা পান্ডারগাও ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত পলিরচর
গ্রামের বাড়িতে আসে বেশ কিছু শ্রমিক ঢাকা ভৈরব এর কর্মস্থল থেকে।
তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্হকর্মি লালমিয়ার মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবারে পলিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মধ্যে তাদের রক্ত পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।
গত সোমবার রাত ৯ টায় দোয়ারা উপজেলা স্বাস্হ কর্মকর্তা জানান দিলোয়ার হোসেন পিতা কাছা মিয়া তাহার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বাকি তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ ধরা পরেছে। সাথে সাথে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল গনি মেম্বার, স্বাস্হকর্মি লাল মিয়া, সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র সাগর তালুকদার, ও পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের স্বেচছাসেবক দায়ীত্ব প্রাপ্ত শামীম আহমেদ ওসমানি, এস এ কাউছার তালুকদার, ও বদরুল আলম কে নিয়ে। তাদের বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসেন যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া আক্তার ও দোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তাদের পরিবার সহ আশপাশের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন।
এবং বিশেষভাবে যেন ঘর থেকে কেউ যেন বের না হন সেই সেই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লালমিয়া। এক প্রশ্নের জবাবে লাল মিয়া আমাদেরকে জানান আগামীকালকে সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে আসবেন। এবং অন্যান্য যারা ঢাকা, ও ভৈরব, থেকে এসেছেন তাদেরকেও আমরা পরীক্ষা করাবো।
আমাদের প্রতিবেদক এর সাথে রিপোর্ট লেখার সময়। সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র সাগর তালুকদার জানান, যে আমাদের পলিরচর গ্রাম হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী দেখার হাওর।
যা হাওর সংলগ্ন অবস্থিত এই পরিচর গ্রাম সহ আশপাশের গ্রাম, অর্থাৎ আমাদের এই পান্ডারগাও ইউনিয়নের একরকম সবাই আমরা এই দেখার হাওরের বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল । এই মুহূর্তে আশপাশের গ্রাম সহ অনেক দূর দুরান্ত থেকে এই দেখার হাওর আসে ধান কাটার জন্য কিন্তু এই মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী একই গ্রামে ৩ জন পজেটিভ আসায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এমনিতেই ধান কাটার জন্য সঠিক সময়ের শ্রমিক পাওয়া যায় না তাহার মধ্যে এই মুহূর্তে এই মরন ভাইরাস আক্রান্ত রোগী আমাদের এলাকায় হওয়ায় সবাই এক অজানা আতঙ্কে ভুগতেছি কে কার দ্বারা কখন আক্রান্ত হয়, তাই সবাই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হব আমাদের মাঝে।