রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মাদারীপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনে দুই পরিবারেরই আপত্তি। কালের খবর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শিকারমঙ্গল মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। কালের খবর “পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের যেকোনো অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে”-সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। কালের খবর সড়ক দূর্ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদল নেতা নিহত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে আওয়ামী ব্যবসায়ী নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মার্কেট ভাংচুরের অভিযোগ। কালের খবর নবীনগরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কালের খবর দুই হাজার নেতা কর্মী গণ সংবর্ধনা দিলো বিএনপি নেতা তজু মিয়াকে। কালের খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি যেসব অপকর্মের হোতা ছিলেন। কালের খবর পরিস্থিতির স্বার্থে নাহিদের ‘বোন’ পরিচয় দিয়েছিলাম : ফাতিমা। কালের খবর কক্সবাজারে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো সেই যুবক ডিবি হেফাজতে। কালের খবর
সূর্য সন্তান ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ এর জীবনী

সূর্য সন্তান ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ এর জীবনী

মো:শহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশের উর্ধতম পুলিশ কর্মকর্তা, অন্যতম সাবেক ছাত্রনেতা, ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, সমাজসেবী- ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’ ১৯৭১ সালের ১ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার জালমাছমারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ কসিমুদ্দীন মিঞা এবং মাতা সৈয়দা গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। ১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট চিলড্রেন পার্ক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এস.এস.সি, ১৯৮৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বি.এস.সি ও ১৯৯৩ সালে এম.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এম.এ.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মূলত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর ‘স্যার.এ.এফ রহমান হলের’ ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে ‘স্যার.এ.এফ রহমান’ হল শাখার সভাপতি এবং ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কার্যকরী সংসদের সহ-পাঠাগার সম্পাদক নির্বাচিত হন সেই সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা ‘সৈয়দ নুরুল ইসলাম’। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সেই সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন। ঢাকায় বসবাসরত চাঁপাইনবাবগঞ্জের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ১৯৯৭ সালে ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতি’ নামের একটি সংগঠন গড়ার উদ্যোগ নেন। ‘ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-আহবায়কের দায়িত্বও পালন করেন। এই সংগঠনের ব্যানারে তিনি সেই সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করেন।
২০তম বি.সি.এস (পুলিশ ক্যাডার) পাশ করে ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এ.এস.পি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটিন পুলিশের কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এস.পি), ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (এস.বি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ঢাকা) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বহুদিন কাজ করেছেন তিনি। সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বচ্চো পুরস্কার-সম্মাননা বি.পি.এম এবং পি.পি.এম পদক অর্জন করেন সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। বর্তমানে ‘পুলিশ সুপার’ পদ মর্যাদায় বাংলাদেশের বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলায় তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
সুনাম এবং সাফল্যের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। মেধাবী, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী কিংবা দু:স্থ, অসহায়, এতিমদের সহযোগিতা করাসহ শিবগঞ্জ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন সমাজসেবী সৈয়দ নুরুল ইসলাম (এসপি)।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com