সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক: নয় বছর পেরিয়ে ১০-এ পা রাখলো দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০১০ সালের ১৫ মার্চ দৈনিকটির যাত্রা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায়।
১৫ মার্চ নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রী হলে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শনিবার (২৩ মার্চ)।
অনুষ্ঠানে স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত দেশের পাঁচ কৃতি সন্তানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- কবি শামসুর রাহমান (মরণোত্তর), কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, খ্যাতিমান অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার ও ববিতা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত।
সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ।
এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানকে মার্চ মাসে শ্রদ্ধা জানানোয় আমি আনন্দিত। এই কবির প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আজকে যে গুণীজনরা সংবর্ধিত হয়েছেন, তার বেশির ভাগই নারী। তাদের সম্মান জানাতে পেরেও আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ প্রতিদিন এই আয়োজনে এদেশের স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত কৃতি সন্তানদের নিজের অবস্থান থেকে সম্মানিত করেছে।
সমাপনী বক্তব্যে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, এদেশের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের ভূমিকা কী ছিল, তা জানাতে আমাদের মিডিয়া কাজ করবে। আমি সব সময় একটি কথাই বলি স্বাধীনতার স্বপক্ষে, মুক্তিযদ্ধের পক্ষে আমাদের মিডিয়া আজীবন কাজ করবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম আগত অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীদের বরণ করে নেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আমরা যা কিছুই করি না কেনো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। দেশ ও মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদপত্র বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন হানিফ।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে পরিবেশ বান্ধব রাখতে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মেয়র বলেন, বিদেশে ময়লা একটি স্থানে ফেলে আসুন, আমরাও এই নিয়মটা মেনে চলি। নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে অতীতের মতো বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, একটি বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। নিরাপদ শহর গড়তে এই পত্রিকাটির ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিন কাজ করছে। এই জন্য পত্রিকা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিড়িয়াকে ধন্যবাদ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও অন্যায়ের পক্ষে জোড়ালো ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ন্যায়ের পক্ষে কাজ করায় আমাদের সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদসহ সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, শীর্ষ ব্যবসায়ী, সংস্কৃতিসেবী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রতিনিধি, সারা দেশের হকার, এজেন্ট এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের গুণী শিল্পীরা।
*** আজীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করবে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া