শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
নবীনগর থেকে মোঃ কবির হোসেন, কালের খবর :ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামে ইমন হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উন্মোচন করেছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য সাংবাদিকদের দেন র্যাব-১৪।
বৃহস্পতিবার ভোরে শ্যালক ইমনকে (১৩) হত্যা মামলায় দুলাভাই রফিকুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। সে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বড়াইল নয়াপাড়ার সমির উদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ এখতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তদন্তে নামে র্যাব-১৪। ২০১৩ সালে নিহত ইমনের বড় বোন মনিরা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় রফিকুলের। রফিকুল বিয়ের পর থেকে মনিরার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। নেশাগ্রস্ত রফিকুল চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এবং স্ত্রী মনিরার ওপর প্রতিশোধ নিতে বিভিন্ন
পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো এক পর্যায়ে শনিবার (২ মার্চ) রফিকুল লুকিয়ে বড়িকান্দিতে যায়। সন্ধ্যার দিকে দেখতে পায় তার শ্যালক সহপাঠিদের সঙ্গে খেলা করছে। শ্যালক ইমন খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভগ্নিপতি রফিকুল তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য পাশের একটি শুকনো খালে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ মার্চ) নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি জয়কৃষ্ণ বাড়ি এলাকার একটি শুকনো খাল থেকে ইমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।