শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট : দিবস আসে দিবস যায়। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, তাতে কি ? ক্ষুধা তাড়িত হত-দরিদ্র হাছিনাদের এসব দিবসে কিছু আসে যায় না। তারা জানেনও না আজ কোন দিবস। তারা শুধু বোঝেন দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতে হবে।
শুক্রবার দুপুর দেড়টা। ফাগুনের তপ্ত রোদ পিঠে লাগছে। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই জামালপুরের ক্ষুধা তাড়িত মানুষের একজন হাছিনা বানুর। পান্থপথে প্রধান সড়কের পাশেই ফুটপাতের উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে কায়িক শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। বাসায় দুটি বাচ্চা রয়েছে। স্বামী সেই কবেই তাদের ছেড়ে চলে গেছে। সংসারের হাল বাধ্য হয়েই ধরতে হয়েছে তাকে। আগে বাসা বাড়িতে কাজ করেতন। বাচ্চা থাকায় সমস্যা। এখন গ্রামের অন্য লোকদের সহায়তায় এ কাজে যোগ দেন তিনি। আয় মোটামুটি ভালই। প্রতিদিন সাড়ে ৪শ’ টাকা পান। তবে এই কাজ বেশিদিন চলবেনা। আবারও কোন এলাকায় কাজ শুরু হলে ডাক পড়লেই কাজ মিলবে। নারী দিবসের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি দিবস তা আমার জানা নেই। বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছি। তবে কাজ পাচ্ছি এতেই খুশি।
এদিকে পুরুষ শাসিত সমাজে অনেক নারী আজ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী ও চরাঞ্চলের নারীর সংখ্যায় বেশি। অবহেলিত নারী অধিকাংশই গরিব ও দুস্থ পরিবারের। জীবন-জীবিকার তাগিদে পুরুষদের সঙ্গে নারীরাও সমান তালে দিনমজুরের কাজকর্ম করছেন। তবে নারীরা পুরুষের চেয়ে মজুরি কম পাওয়ায় তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু সমাজেই এই বৈষম্য না, সংসারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও তারা স্বামী-শ্বশুরবাড়িতে নিগৃহিত। পাচ্ছেন না সঠিক মূল্যায়ন। এছাড়া মৌলিক অধিকার, শিক্ষা, চিকিৎসার অভাব, বাল্যবিয়ে, যৌন হয়রানিসহ সমাজে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন পিছিয়ে পড়া অসংখ্য নারী।