মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক ঃ
বাজারে সরবরাহকারী পাঁচ বোতলজাত প্রতিষ্ঠানের পানি খাবার উপযোগী নয় বলে আদালতকে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- অ্যাকোয়া মিনারেল, ইয়ামি ইয়ামি, ওসমা, সিনমিন ও সিএফবি। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এমন তথ্য জানান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানির জন্য এদিন উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন।
ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৩ জানুয়ারি অবৈধভাবে ও নিম্নমানের জার ও বোতলজাত খাবার পানি উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে গঠিত কমিটি কী কাজ করেছে তার বিস্তার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া বিএসটিআইকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর এক আদেশে বেআইনিভাবে খাবার পানি বাজারে সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। বিএসটিআই ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এছাড়া আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিএসটিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত ওই সময় অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে গত বছর ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে একই বছর ২৭ মে রিট আবেদন করা হয়।