বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। একইসঙ্গে এ সব অনিয়মের ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন তিনি। বলেছেন, এ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, সেই আলোকে আমরা বলছি, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হয়েছে। তবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, কী গ্রহণযোগ্য নয়- এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।
আজ ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব মন্তব্য করেন।
টিআইবি দৈবচয়নের মাধ্যমে ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫০ টি আসনে এই পর্যালোচনা করে। এরমধ্যে ৪৭ টি আসনেই কোন না কোন অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, এটাকে আংশিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যেতে পারে, কারণ সবদলের প্রার্থী অংশ নিলেও সবার সমান প্রচারণার সুযোগ ছিলো না। বিশেষ করে ভোটারদেরও তাদের অধিকার অনুযায়ী, পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেয়ার সমান সুযোগ ছিলো না।
কোন কোন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা, অনেক কেন্দ্রে ভোটারকে ভোট দিতে না দেয়া, বুধ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মারা, জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, ভোট শুরুর আগেই কোথাও কোথাও ব্যালট বাক্স্র ভর্তি হয়ে যায়, ভোট শেষ হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তুলে ধরে টিআইবর নির্বাহী পরিচালক বলেন, তাদের প্রত্যাশিত নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থতা দেখা গেছে। বিশেষ করে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরী করতে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তার যথেষ্ঠ তথ্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি। বলেন, প্রতিপক্ষকে দমনে সরকারি দলের সহায়ক অবস্থানে দেখা গেছে কমিশনকে। সবদলের প্রার্থীদের সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। আচরণবিধি পালনের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ দেখা গেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীতে ব্যাপক ব্যর্থতা দেখা গেছে এবং এ ব্যাপারে কমিশনের ভেতরে মতদ্বৈততা লক্ষ্য করা গেছে- এটা অভূতপূর্ব বিষয়।