রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জালসনদে শিক্ষকতা করে বেতন-ভাতার নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লোট-পাট করছে কোটি কোটি টাকা। কালের খবর

সারাদেশে ৬০ হাজার শিক্ষক জালসনদে শিক্ষকতা করে বেতন-ভাতার নামে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লোট-পাট করছে কোটি কোটি টাকা। কালের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক,  কালের খবর  : সারাদেশে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক এখন জালসনদে শিক্ষকতা করছেন। তারা সরকারের ‘মান্থলি পে-অর্ডার’ বা এমপিও পেয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা বেতন-ভাতা তুলে নিচ্ছেন। কেবল চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তদন্তকালে ধরা পড়েছে। ভুয়া সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিআইএ।

ডিআইএর নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯৮১ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৩৫ বছরে সারাদেশে ৫১ হাজার ৯৯২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষকের সনদ জাল বলে চিহ্নিত করেছে ডিআইএ। এসব শিক্ষক এই সময়কালে সরকারি কোষাগার থেকে ৪৮২ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৭ টাকা বেতন-ভাতা তুলেছেন।

ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, এসব শিক্ষক তদন্তকালে চিহ্নিত হয়েছেন। জনবল সংকট ও সামর্থ্যের কারণে সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সরেজমিনে তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জানান, তার ধারণা তদন্তের বাইরে থাকা জাল সনদধারী শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা অন্তত ৪০ গুণ বেশি হবে। সে হিসাবে সারাদেশে এ মুহূর্তে জাল সনদধারী শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত তদন্তকালে ২৬৮ শিক্ষকের সনদ জাল বলে তারা প্রমাণ পেয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আট কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এই ২৬৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮২ জন জাল সনদধারী শিক্ষক বেতন-ভাতা তুলেছেন দুই কোটি ২৯ লাখ ২১ হাজার ৬৯৭ টাকা। এভাবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১১ শিক্ষক ৪৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১০৯ শিক্ষক তিন কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৬৬ শিক্ষক দুই কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন।-

 

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com