সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক :
ভেড়ামারায় ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্বোধন ও ১৫টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পুনরায় জনগণের ওপর আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি একই আনুষ্ঠানিকতায় অনলাইন উদ্ভাবক প্রশিক্ষণ মঞ্চ ‘কুশলী’-এরও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদ বিপু। এ ছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ , জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
পরে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের মন্ত্রী, গণপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও ভিডিও কনফারেন্সে অংগ্রহণ করে সুবিধাপ্রাপ্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জানা গেছে, ভেড়ামারা কম্বাইন্ড সাইকেল ডুয়েল ফুয়েল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিকল্পনাটি ৩ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। এতে সরকারি বরাদ্দ ৬৩৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ও বাকী অর্থ সহযোগীদের কাছ থেকে আসে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠান দি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি লিমিটেড কুষ্টিয়ার ভেরামারা উপজেলার বহির্চর অঞ্চলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
এ ছাড়াও শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা ১৫টি উপজেলাগুলো হচ্ছে-ঢাকার ধামরাই, কিশোরগঞ্জের নিকোলী, চট্টগ্রামের রাউজান, রংপুরের পীরগঞ্জ, কুষ্টিয়ার খোকশা, সতক্ষীরার দেবহাটা, খুলনার রূপসা, ফুলতলা ও দীঘলীয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, পাবনার বেড়া, সিলেটের বিয়ানিবাজার, দিনাজপুর সদর ও নিাজপুরের বিরামপুর। এসব উপজেলার সঙ্গে আরো ৫১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সুবিধার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
তা ছাড়াও ‘কুশলী’ একটি ওয়েব-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা সফটওয়্যার ব্যবহারকারি পরিকল্পনা, যা সুনির্দিষ্ট শিক্ষা প্রক্রিয়াকে নির্ণয় ও বাস্তবায়ন করে। এ প্রক্রিয়া আগামী তিন দশকব্যাপী বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের প্রযোজনীয়তা পূরণে সহযোগিতা করবে বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, বাংলদেশের যে কোনো জায়গা থেকে যে কেউ এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবে।
দৈনিক কালের খবর -/১২/৪/১৮