শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীনগরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ্ আল বাকীকে সংবর্ধনা প্রদান। কালের খবর খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ : তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের। কালের খবর ছোট চাকরি করেও কোটিপতি মানিকগঞ্জের শামীম। কালের খবর যশোরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৯৫ টি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ৪। কালের খবর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তিন আমলেই দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছেন নুরে আলম ভূঁইয়া। কালের খবর অবৈধ ৩৪৯১টি ইটভাটা বন্ধ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা। কালের খবর নবীনগর সরকারি কলেজে ডিজিটাল হাজিরা চালু। কালের খবর দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি নেতা ইব্রাহিম। কালের খবর মন্দিরের হিসাব নিয়ে দ্বন্ধে মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা : দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন। কালের খবর
পাসপোর্টের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ। কালের খবর

পাসপোর্টের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ। কালের খবর

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের খবর : 

অভিযোগের শেষ যেন কোনো অংশেই কমতি নেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইতোপূর্বে তাদের দু’জনের নামেই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্যে পাওয়া যায়নি।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে গত ১৬ জুন ২০২১ সালে আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়। মূলত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল মাবুদ খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খানের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আব্দুল মাবুদ খান ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ কোটি টাকার অবৈধ উৎসকে বৈধ দেখানোর জন্য তার স্ত্রী নাসিমা খানের সঙ্গে পারস্পারিক যোগসাজশে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা ও ননজুডিশিয়াল স্টাম্প ও হলফনামা সৃজন ও সম্পাদন করে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মিথ্যা দান ও ঋণ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া বৈধ উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথা জ্ঞাতআয়বহির্ভূত ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৫ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রেখে উত্তোলন করেছেন। ওই সময় দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরকে উৎস ধরে তদন্তে নামে সংস্থাটি। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা করে দুদক। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায়ই তাদের ১৬টি এফডিআর বা স্থায়ী আমানতের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল মাবুদ ২০০৯ সালে পাসপোর্টের ডিজির দায়িত্ব নিয়ে ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান। তার বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দর্পপুর গ্রামে। এরপর একটি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি পাসপোর্টের ডিজি পদে যোগ দেওয়ার আগে তার এবং তার স্ত্রী নাসিমা খানের নামে চারটি ব্যাংক হিসাব ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ডিজি হওয়ার পর থেকেই তাদের নামে একাধিক ব্যাংকে হিসাব খোলা শুরু হয়। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখাতেই তাদের ১৬টি এফডিআর বা স্থায়ী আমানতের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০২১ সালে গুলশানের একটি ব্যাংকে তার হিসাবে কয়েক কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া যায়।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com